গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রায় সব পত্রিকায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে খবর বেরিয়েছে; চীনের একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে। আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি আশাপ্রদ খবর। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারত যেভাবে পানি ঘোলা করেছে, তা বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের হতাশই করেছে। ক্রমাগত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারত এতগুলো বছর বাংলাদেশকে কেবল ঘুরিয়েছে।
২০১১ সালে খসড়া তৈরি হলেও নানা অজুহাতে ভারত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল, শেখ হাসিনার শাসনামলের শেষ দিকে ভারত এ চুক্তি নিয়ে ন্যূনতম আগ্রহও দেখাত না। এ চুক্তি নিয়ে যখন কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না, তখন এক মহাপরিকল্পনা নিয়ে চীন বাংলাদেশের সাহায্যে এগিয়ে আসে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কিছুটা অগ্রসর হতে না হতেই ভারত এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তারা আপত্তি তোলে এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের সম্পৃক্ততা নিয়ে। সে সময় শেখ হাসিনার এমন কোনো ক্ষমতা ছিল না, ভারতের আপত্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। ফলে এ বিষয়টি সেখানেই আটকে যায়।