সরিষার তেলের ব্যবহার বাংলাদেশে দৈনন্দিন না হলেও রান্নায় বা চুলের যত্নে মাঝেমধ্যে ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। সরিষা গাছের বীজ থেকেই তৈরি হয় এই তেল পাওয়া যায়। কালো সরিষা, বাদামি সরিষা ও সাদা সরিষা গাছ থেকে এ তেল পাওয়া যায়।
২০১৬ সালের এক গবেষণায় (ইঁদুরের ওপর পরিচালিত) দেখা গেছে, সরিষার তেল শরীরের কিছু ব্যথা-গ্রাহক রিসেপ্টরকে বাধা দেয়। এর ফলে এটি পেশির ব্যথা বা শরীরের অন্যান্য ধরণের ব্যথা উপশমে কার্যকর হতে পারে। তবে মানুষের ক্ষেত্রে একই রকম ব্যথানাশক প্রভাব ফেলে কি না, তা নিশ্চিত করতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
আরেকটি ২০১৬ সালের গবেষণায় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সরিষার তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অর্থাৎ এটি জীবাণুর বৃদ্ধি থামাতে এবং ত্বক, মাথার ত্বক ও শরীরের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
ভারতীয় ও নেপালি রান্নায় বেশ জনপ্রিয় এই ঝাঁজে ভরা তেল। আবার যুক্তরাষ্ট্রে এই তেল মূলত চুল ও মালিশের তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এই তেল খাবারে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। কর্তৃপক্ষ বলছে, এতে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত এরুসিক অ্যাসিড থাকতে পারে, যা পশু-অধ্যয়নে স্বাস্থ্যঝুঁকির সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে।