বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত এবং নবীকুলের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) আগমন হয়েছিল বিশ্ববাসীর জন্য রহমত রূপে। মহানবীর জীবন অতিবাহিত হয়েছে মানুষের মুক্তি সাধন, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ঐক্য বিধান ও মানুষকে সুসভ্য হিসাবে গড়ে তোলার জন্য। তাই তো মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে সাদা-কালো নির্বিশেষে সবার জন্য পাঠানো হয়েছে’ (মুসনাদে আহমদ)। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে ক্ষমার অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মহানবীর (সা.) আদর্শ এতটাই অতুলনীয় যে, তিনি ইহুদির লাশকেও সম্মান দেখিয়েছেন। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, একবার এক ইহুদির লাশ বিশ্বনবীর (সা.) সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আর এতে মহানবী (সা.) সেই লাশের সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে ছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না লাশটি তার সামনে থেকে চলে যায়। পাশ থেকে হজরত জাবের (রা.) বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটি তো ইহুদির লাশ। এতে আল্লাহর রাসূল উত্তর দিয়েছিলেন, সে কি মানুষ ছিল না? (সহিহ বোখারি, হাদিস নং ১৩১১)। কতই না অতুলনীয় ছিল মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ! হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, হজরত আবু হুরায়রাহ (রা.) বর্ণনা করেন, ‘একদা মসজিদে এক মরুচারী বা বেদুইন আসে আর সেখানেই প্রস্রাব করতে বসে পড়ে। লোকজন তার দিকে ধেয়ে আসে। মহানবী (সা.) লোকদের বারণ করে বলেন, একে ছেড়ে দাও আর সে যেখানে প্রস্রাব করেছে, সেখানে বালতির পানি ঢেলে দাও। তোমরা লোকদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য সৃষ্ট হয়েছ, কাঠিন্যের জন্য নয়।’ (বোখারি)