You have reached your daily news limit

Please log in to continue


কথা রাখতে পারলেন না ট্রাম্প

সাড়ে তিন বছর হতে চলল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। শুরু হওয়ার এক বছর পর থেকেই বিভিন্ন মহল বিভিন্নভাবে এই যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যুদ্ধ বন্ধে কয়েক মাসের মাথায় ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি বসে অনেক কথা হয়েছিল, সবাই আশায় বুক বেঁধেছিল, হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ বন্ধ হবে।

কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। তারপর মানুষ আবার আশায় বুক বেঁধেছিল ট্রাম্পের কথা শুনে। ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকলে এই যুদ্ধ হতো না।’ এ রকম একটা আভাস ট্রাম্প দিয়েছিলেন বিশ্ববাসীসহ আমেরিকার জনগণকে যে—ডেমোক্রেটিক পার্টি যুদ্ধবাজ, তারা সারা বিশ্বে যুদ্ধ লাগায়। ট্রাম্পের সেই যুদ্ধ বন্ধ করতে হয়। আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে ধন্য ধন্য পড়ে গেল। ডেমোক্র্যাটদের মানুষ কুনজরে দেখতে শুরু করল। ট্রাম্পের বিখ্যাত উক্তি, ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ ও যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতির কারণে ভূমিধস বিজয় পেলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হলেন রেকর্ডসংখ্যক ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে। কংগ্রেসে ও সিনেটে রিপাবলিকানদের বিজয়। এত ক্ষমতা এর আগে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট পেয়েছেন বলে মনে হয় না। সবাই একবাক্যে বলেছিল, এবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ হবেই হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে যথারীতি ওয়াশিংটনে ডেকে পাঠালেন ট্রাম্প। জেলেনস্কি তাঁর স্বভাবসুলভ যুদ্ধকালীন পোশাক পরে ওয়াশিংটনে হাজির হলেন। ট্রাম্প তাঁর বেশভূষা-কথাবার্তা শুনে ধমকের ওপর ধমক দিলেন। এমনকি সৌজন্যমূলকভাবে যে চা চক্রের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই আপ্যায়ন পর্যন্ত করলেন না। সম্পূর্ণ নিয়মনীতি ভেঙে অতিথি প্রেসিডেন্টকে মোটামুটি ছোটখাটো অপমান করার মতো করেই বিদায় করলেন। তখন সবাই মনে করতে লাগল, এবার ইউক্রেনের বারোটা বেজে গেছে—জেলেনস্কি এবার ফাঁদে পড়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হবেন! কিসের কী! যুদ্ধ চলতে থাকল আগের মতোই, বা তার চেয়ে একটু জোরেশোরেই।

এদিকে ভ্লাদিমির পুতিন ট্রাম্পের কথায় আশ্বস্ত হওয়ার অভিনয় করলেন। ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে লাগলেন। রুশ ভূখণ্ডের কুরস্ক অঞ্চলের যে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা ইউক্রেন দখল করে নিয়েছিল, তা অল্প দিনের মধ্যেই উদ্ধার করল রাশিয়া। শুধু উদ্ধার নয়, সেখানে ইউক্রেন ৩৭ হাজার সেনা হারাল। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হলো দেশটি। রাশিয়ার মধ্যেই ইউক্রেন গুপ্তচরের মাধ্যমে অস্ত্র মজুত করে রাশিয়ার মুরমানস্ক অঞ্চলে হঠাৎ হামলা

করে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি বিমান ধ্বংস করে দিল। সঙ্গে ধ্বংস করল দুটি বিমানঘাঁটি। রাশিয়া অবশ্য বলেছে, সোভিয়েত আমলের যেসব বিমান ধ্বংস করেছে, বর্তমানে এইসব বিমান তারা খুব একটা ব্যবহার করে না। ব্যাপারটা তারা আমলেই নিতে চাইল না!

সবচেয়ে মজার বিষয়—রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মাসখানেক আগে ঘোষণা করলেন, রুশ সেনারা যেখানে তাদের বুটের জুতা দিয়ে অতিক্রম করবে, সেইসব জায়গা রাশিয়ার। এই কথা অনুসরণ করে রুশ সেনাদল পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়া অব্যাহত রেখেছে। দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে দনবাস অঞ্চল গঠিত। দোনেৎস্ক এখন পুরাপুরি রাশিয়ার দখলে। লুহানস্কের কিছু অঞ্চল দখল করা বাকি। গত ১০ দিনে ইউক্রেনের পাঁচটি ছোট ছোট শহর দখল করেছে রাশিয়া। তার মধ্যে দুটি বেশ উল্লেখযোগ্য এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহর দুটি হলো পোকরোভ্স্ক ও কনস্তান্তিনোভা।

গত এক সপ্তাহে রাশিয়া কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ৮২৬টি ড্রোন ও মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় ও অস্ত্র মজুতের ডিপোতে প্রধানত হামলাগুলো চালিয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ও গোলাবারুদ মজুতের গোডাউন রাশিয়ার নখদর্পণে। এইসব ড্রোন ও মিসাইল আক্রমণে হতাহত কম হয়। ধ্বংস হয় সামরিক স্থাপনা ও সামরিক সরঞ্জাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন