ধরাছোঁয়ার বাইরে দুর্নীতি ধামাচাপার তিন ‘কারিগর’

যুগান্তর প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪২

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আমলে বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপার ‘কারিগর’ ছিলেন তিনজন। তাদের ইশারায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের রক্ষা করা হতো। শুধু তাই নয়, মামলার জালে ফাঁসানো হতো সরকারবিরোধী নেতা ও ব্যবসায়ীদের। আবার তাদের বিরুদ্ধে আছে ব্যাংক-বিমা লোপাটকারী অলিগার্কদের (যারা শুধু ক্ষমতা ও অর্থের মালিকই নন, প্রচুর সম্পদের উৎসগুলোর নিয়ন্ত্রকও) ছেড়ে দিয়ে অঢেল অর্থ উপার্জনের অভিযোগও। তারা হলেন-দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান-এম বদিউজ্জামান, সৈয়দ ইকবাল মাহমুদ ও মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লা।


আওয়ামী সরকারের ইশারায় দুদককে রীতিমতো হাতিয়ারে পরিণত করেছিলেন তারা। সংস্থাটির ভাবমূর্তি ধ্বংস করে যাওয়া এ তিন ব্যক্তি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবনযাপন করছেন ইকবাল মাহমুদ। আর বদিউজ্জামান ও মঈনউদ্দীন আবদুল্লা দেশেই আছেন নীরবে-নিভৃতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।


জানতে চাইলে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মঈদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। চেয়ারম্যান থাকাকালে তাদের বিরুদ্ধে কেউ হয়তো কথা বলতে সাহস পাননি। এখন কথা বলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কাজেই সাবেক দুদক চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও মামলা হতে পারে। তবে কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা অনভিপ্রেত। ‘সরষের ভেতর ভূত’ থাকলে তা অবশ্যই তাড়াতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব যাদের, তারা নিজেরাই দুর্নীতিগ্রস্ত হলে কখনো দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব হবে না। হয়তো নিজেরা দুর্নীতিতে জড়িত বলেই রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান-কমিশনারদের কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। নিয়োগ সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি আছে। তাদের নিজস্ব যাচাই-বাছাই ও সুপারিশে নিয়োগ হয়েছিল নাকি কারও হুকুম তামিল করতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তাও অনুসন্ধান করা দরকার।’


জানা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের শেষের দিকে দুদকের চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পান এম বদিউজ্জামান। অনেকটাই সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমানের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর নানা বিতর্কের জন্ম দেন তিনি (বদিউজ্জামান)। ২০১৩ সালের ২৬ জুন থেকে ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত দুদক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন বদিউজ্জামান। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক ছিলেন দুবার। বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরোর মহাপরিচালকও ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন বদিউজ্জামান। দুদক চেয়ারম্যান থাকাকালে তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগ হচ্ছে-পদ্মা সেতু দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া। সেসময় পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশারফ হোসেন ভূঁইয়াসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। বদিউজ্জামানের তত্ত্বাবধানে এ মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। চেয়ারম্যান হিসাবে বিদায়ের দিন তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে আমরা যে এজাহার দায়ের করেছিলাম, তাতে মামলা করার মতো কোনো মেরিট ছিল না। এটা ঠিক হয়নি। তবে পরবর্তী তদন্তে আমরা প্রমাণ করেছি অভিযোগটি মিথ্যা।’


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও