ইউক্রেনের পরাজয় ঠেকানোর একমাত্র পথ...

প্রথম আলো ইউক্রেন স্টিফেন ব্রায়েন প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫২

সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও রুশ বাহিনীর অগ্রগতি যুদ্ধের শেষ পরিণতির পূর্বাভাস দিচ্ছে। এটি ইউক্রেনের ওপর নেমে আসবে যদি দেশটি এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প উপায় খুঁজে না পায়। সম্ভাব্য একটি সমাধান হতে পারে জেলেনস্কিকে সুরক্ষা দিয়ে অপেক্ষাকৃত একটি নমনীয় পক্ষ তৈরি করা। সেরা উপায়টি হতে পারে ইউক্রেনে একটি জোট সরকার গঠন করা, যারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বোঝা বহন করতে পারবে।


আজ আমরা জেলেনস্কি ও তাঁর সহযোগীদের কাছ থেকে বারবার শুনছি, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়াই তাঁরা এই যুদ্ধ জিততে পারবেন। ঘৃণিত রুশদের কাছে তাঁরা ইউক্রেনের এক মিটার ভূমিও ছাড়বেন না। এ–ও বলছেন, তাঁরা ‘ভাড়া হিসেবে’ আমেরিকান সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারবেন অথবা জার্মানিকে ফ্রন্ট হিসেবে ব্যবহার করে আমেরিকান যন্ত্রাংশ কিনত পারবেন।


এখন প্রশ্ন হলো, ইউক্রেনের নেতারা যেটা বলছেন, সেটা কি তাঁরা সত্যিই বিশ্বাস করেন?


আমার ধারণা, তাঁরা নিজেরাও এটা বিশ্বাস করেন না। তাঁরা মূলত জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যখন সবখানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন বিস্ফোরিত হচ্ছে, আর আপনাকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে কিংবা ঠান্ডা বেজমেন্টে ঘুমাতে হচ্ছে, তখন এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হওয়া খুব কঠিন।


আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুলটি হয় ২০২২ সালের ৩০ মার্চ। ধারণা করা হয়, যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইস্তাম্বুলে হওয়া শান্তিচুক্তি থেকে জেলেনস্কিকে সরে আসতে রাজি করিয়েছিলেন।



আমার নিজের পর্যালোচনা হচ্ছে, জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তার কারণ হলো তিনি ভয় পাচ্ছিলেন, এতে তাঁর নিজের সেনাবাহিনী তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে পারে এবং হয়তো তাঁকে হত্যাও করতে পারে। ফলে জেলেনস্কির সিদ্ধান্তকেই অনেকটা বৈধতা দিয়েছিলেন জনসন।


এর আগে ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জানিয়েছিলেন, জেলেনস্কি ভয় পাচ্ছিলেন যে রুশরা তাঁকে হত্যা করবে। তখন বেনেট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে ‘সেটা করা হবে না’ বলে প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলেন। কিন্তু হুমকিটা ইউক্রেন সেনাবাহিনীর চরমপন্থী অংশ থেকে এলে সেখানে কোনো প্রতিশ্রুতি আদায় করা সম্ভব ছিল না।


এর পর থেকে জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো সমঝোতামূলক আলোচনার প্রশ্নে সম্পূর্ণ অনমনীয় ও একরোখা অবস্থান নেন। তিনি দাবি করতে থাকেন, রুশ সেনাদের ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য পুতিনের শাস্তি হতে হবে। জেলেনস্কির এই অনমনীয় অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো সফল মধ্যস্থতার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।


নিজের সিদ্ধান্তের দায় ঢাকতে জেলেনস্কি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি তোলেন। এটি এমন একটা দাবি, যেটা রাশিয়া কখনোই মানবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি নিয়ে মস্কোকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু সেটা ফলপ্রসূ হয়নি। ৩ জুলাই পুতিন ও ট্রাম্প টেলিফোনে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কথা বলার সময় ধারণাটি আবারও সামনে এসেছে।


ইউক্রেনের সমস্যা এখন শুধু জেলেনস্কির জন্য সৃষ্ট সমস্যা নয়। ইউক্রেনের অস্ত্রভান্ডার ফুরিয়ে আসছে। আশঙ্কাজনকভাবে সেনা ও ভূখণ্ড হারাতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের সরবরাহ পথ, গোলাবারুদের গুদাম, কমান্ড সেন্টার ও কারখানাগুলো একের পর এক ধ্বংস হওয়ার কারণে প্রতিদিনই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।


অন্যদিকে রাশিয়ার হাতে এখনো বেশ কিছু তুরুপের তাস রয়ে গেছে। প্রথমত, রাশিয়ার একটি বিশাল সেনাবাহিনী আছে, যার বড় একটি অংশ এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা হয়নি। সেই তুলনায় ইউক্রেন নতুন সেনা সংগ্রহের পাশাপাশি পুরোনোদের ধরে রাখার ক্ষেত্রেও ভয়ানক সমস্যায় পড়েছে। সেনাদের পলায়নের হার ভয়ানক হারে বেড়ে গেছে। কেননা, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনীয় সেনাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও