You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শ্রমিকসংকট নিরসনে যান্ত্রিক কৃষির বিকল্প নেই

এ বছরই প্রথমবারের মতো থাইল্যান্ডে বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কৃষি যন্ত্রপাতির আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ‘চায়না ইন্টারন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল মেশিনারি এক্সিবিশন এশিয়া ২০২৫, থাইল্যান্ড’। দেশটির রাজধানী শহর ব্যাংককে ২৩-২৫ জুলাই বসবে এবারের আসর। ১০ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে এই প্রদর্শনীতে অংশ নেবে প্রায় ৩৫টি দেশের কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির প্রতিষ্ঠান। চায়না অ্যাগ্রিকালচার অ্যাগ্রো মেশিনারিজ অ্যাসোসিয়েশন, চায়না অ্যাগ্রিকালচারাল মেকানাইজেশন অ্যাসোসিয়েশন ও চায়না অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারিজ ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে এই মেলায় এ বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন ক্যামডার আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান আলেকজান্ডার সান। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ মেলার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি কৃষি যন্ত্রপাতির সঙ্গে সারা বিশ্বের মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেবে। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে এবং কৃষিযন্ত্রকে জনপ্রিয় করতে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে চীনে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বছর এই মেলা বসবে থাইল্যান্ডে।

পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ বসবাস করে চীনে। অথচ সেখানে ৮ শতাংশ রয়েছে আবাদি জমি এবং ব্যবহার উপযোগী পানি রয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ। আর তা দিয়েই চীনারা নিজেদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, চীন তাদের চাহিদার ৯৫ শতাংশ খাদ্য চাহিদা নিজেদের কৃষি দিয়েই পূরণ করেছে। আর এই সক্ষমতা অর্জন মূলত কৃষিপ্রযুক্তি উন্নতকরণ ও গবেষণার ফল। মনে পড়ছে ২০০৫ সালে প্রথম চীন সফরে ইউয়ান লং পিংয়ের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ কথোপকথনে বুঝতে পেরেছি জ্ঞানী এই লোকটি নিজের কাজে সম্পূর্ণ আত্মনিয়োগ করেছেন। বয়সে প্রবীণ হলেও চিন্তায় এবং কাজে চিরতরুণ ইউয়ান লং পিং পৃথিবীর খাদ্যনিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এরপর আরও তিনবার তাঁর সাক্ষাৎ লাভের সুযোগ হয়। শেষবার তিনি সিফোর টাইপ ধান নিয়ে গবেষণা করছিলেন। আমাকে বলেছিলেন, যে দেশ যত বেশি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিনিয়োগ করবে, ভবিষ্যতে সেই দেশই তত এগিয়ে থাকবে।

সারা বিশ্বের কৃষি এক দ্রুত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য অধিক উৎপাদন করতে গিয়ে নিরাপদ খাদ্যের প্রশ্ন উঠছে। সারা বিশ্বই ঝুঁকে পড়েছে যান্ত্রিক কৃষির দিকে। এর বিকল্পও নেই। ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ অনুষ্ঠানটি করতে গিয়ে দেখেছি সব কৃষকের

এক অভিযোগ—কৃষিশ্রমিক পাওয়া যায় না। কৃষিশ্রমিক সংকট বাংলাদেশের কৃষির বড় একটি সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনে যান্ত্রিকীকরণ ছাড়া আর কোনো পথ দেখি না।

গতবার চীনে কৃষি যন্ত্রপাতির মেলায় গিয়ে জাপানের প্রবীণ সাংবাদিক ইয়োশিসুকে কিশিদার সঙ্গে কথা হয় দীর্ঘ সময়। শুনছিলাম তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে জাপানের কৃষি ও কৃষকের গল্প। ইয়োশিসুকেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তোমার দেশে বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকের বয়স ৬৫-এর ওপরে। তাঁদের পক্ষে তো ভারী কাজ করা সম্ভব নয়। এই সমস্যা তোমরা কীভাবে মোকাবিলা করছ?’ উত্তরে ইয়োশিসুকে বলেছিলেন, ‘এ কারণে আমাদের কৃষি সম্পূর্ণ যান্ত্রিকীকরণ ছাড়া আর চলবে না। খাদ্যনিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে...ইত্যাদি। এ কারণে জাপান সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এ ব্যাপারে রাষ্ট্রকে একটি বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। আর এটি বর্তমানে জাপানের জন্য বড় ধরনের একটি অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। আমি জানি না আমরা কতটুকু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব!’

খাদ্যনিরাপত্তা বা নিরাপদ খাদ্য দুই প্রশ্নেই যান্ত্রিক কৃষির কোনো বিকল্প নেই। আজকের দিনে কৃষিযন্ত্রগুলো অনেক বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ও স্মার্ট করে গড়ে তোলার পেছনে রয়েছে সুদূরপ্রসারী গবেষণা। এ ক্ষেত্রে উন্নত বিশ্ব যতটা গুরুত্ব পাচ্ছে, উন্নয়নশীল কিংবা অনুন্নত বিশ্ব ততটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। কৃষিযন্ত্রের উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও গবেষণার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যেন উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলোর কথা বেশি বিবেচনায় রাখে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রশ্ন রেখেছিলাম ক্যামডার আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান আলেকজান্ডার সানের কাছে। তিনিও স্বীকার করেছেন, এই সমস্যা শুধু উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশে নয়, খোদ চীনেও রয়েছে। তাই তাঁরাও ভাবছেন ক্ষুদ্র কৃষক তথা ছোট আকারে যাঁরা কৃষিকাজ করেন, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র প্রস্তুতকরণের কথা।

চীনে বৃহদাকারে কৃষি ব্যবস্থাপনার সূচনা ধরা যায় ১৯৭৮ সালে গ্রামাঞ্চলে সমষ্টিগত মালিকানাকাঠামো প্রবর্তনের পর থেকেই। এর ফলে কৃষক উপকৃত হয়েছেন। খাদ্যশস্য উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, ঠিক তেমনভাবে কৃষিকাঠামোর ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন ত্বরান্বিত হয়েছে। চীনের কৃষি সাফল্যের এই বিস্ফোরণের আরেকটি কারণ ইন্টারনেট। চীনের প্রায় শতভাগ এলাকা এখন ইন্টারনেটের আওতায়। আর কৃষিকেও তারা সফলভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছে ই-কমার্সে। চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চীনের প্রায় ৩০০০ সাইটে অনলাইনে কৃষিপণ্য কেনাবেচা হয়।
অনলাইনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ, সার ইত্যাদির পাশাপাশি কৃষক সরাসরি তাঁদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য বিক্রি করতে পারছেন। শুধু তা-ই না, কৃষকদের ঋণসেবা প্রদান এবং কিস্তিতে কেনাকাটা করার ব্যবস্থাও রয়েছে।

এই ই-কমার্সভিত্তিক কৃষিব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষকেরা যেমন মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া ন্যায্য দাম পাচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারাও লাভবান হচ্ছেন নিরাপদ ও মানসম্মত পণ্য পেয়ে। ফলে চীনের কৃষি আজ শুধু উৎপাদনেই নয়, বিপণন ব্যবস্থাপনাতেও একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন