চিকুনগুনিয়ায় কারা বেশি আক্রান্ত হয়, চিকিৎসা কী?

ঢাকা পোষ্ট কাকলী হালদার প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৫, ১৩:২৪

চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাধারণত হঠাৎ জ্বর, তীব্র জয়েন্ট ব্যথা, ত্বকে র‌্যাশ, মাথাব্যথা এবং দুর্বলতার মতো রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশেই এই রোগটি জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক দেশেই মাঝে মাঝেই সংক্রমণ হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। সূত্রমতে, ২০০০ দশকে এটি ইউরোপ ও আমেরিকাতে প্রথম ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে ২০১৪ সালে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়।


চিকুনগুনিয়া বা Chikungunya virus (CHIKV) Togaviridae পরিবারের অন্তর্গত এবং Alphavirus গণের সদস্য। রোগটি মূলত Aedes aegypti এবং Aedes albopictus প্রজাতির মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় এবং এরা সাধারণত দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় থাকে।


এই রোগের উপসর্গকে অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বর এবং জিকা ভাইরাস জ্বরের সাথে ভুল করে তুলনা করা হয়। কারণ একই মশার কামড়ে এই তিন ভাইরাস সংক্রমণ হয় এবং রোগের লক্ষণেও অনেক মিল দেখা যায়। তবে সঠিক চিকিৎসা না হলে তারা ভিন্ন ভিন্ন জটিলতা তৈরি করে থাকে।


‘Chikungunya’ শব্দটি এসেছে তানজানিয়ার মাকুন্দি জনগোষ্ঠীর ব্যবহৃত কিমাকোন্ডি ভাষা থেকে, যার অর্থ ‘বাঁকা হয়ে যাওয়া’—কারণ এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা জয়েন্ট ব্যথার কারণে হাঁটার সময় শরীর বাঁকা করে ফেলে। এই ভাইরাস সাধারণত হঠাৎ জ্বর, তীব্র জয়েন্ট ব্যথা, ত্বকে র‌্যাশ, মাথাব্যথা এবং দুর্বলতার মতো রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে।



চিকুনগুনিয়া ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৫২ সালে তানজানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে। তখন ওই এলাকায় অনেক মানুষ একসাথে আক্রান্ত হয়েছিল। এরপর এটি আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৪ সাল থেকে এই রোগটি আরও বিস্তৃতভাবে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় ছড়াতে শুরু করে।


বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৮ সালে তবে তখন এটি সীমিত আকারে ছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রথম এ রোগের ভাইরাসটি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ঢাকার দোহারে এটি লক্ষ্য করা গেলেও এরপর তেমনভাবে এ ভাইরাসের কথা শোনা যায়নি।


তবে ২০১৭ সালের প্রথমদিকে সারাদেশে ভাইরাসটি উল্লেখযোগ্য হারে লক্ষ্য করা যায়। তখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়। ওই সময়ে জুন থেকে আগস্ট মাসে এই ভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকায় ২০১৭ সালের জুলাই মাসেই প্রায় ১৩,০০০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।


Aedes মশাগুলো সাধারণত পরিষ্কার পানিতে জন্মায়, যেমন ফুলের টব, ভাঙা পাত্র, পানির ট্যাংক, ড্রাম ইত্যাদি। সাধারণত আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশা চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি তার শরীরে গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে অন্য ব্যক্তিদের কামড়ানোর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। ভাইরাসবাহী মশার কামড়ে ভাইরাস রক্তে প্রবেশ করলে ৩-৭ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়।


চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ সাধারণত হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং তা বেশ তীব্র হতে পারে। হঠাৎ উচ্চমাত্রার জ্বর (১০২°F বা তার বেশি), তীব্র জয়েন্ট ব্যথা (বিশেষ করে হাতে, পায়ে, গোড়ালি, কাঁধ, হাঁটুতে এবং কব্জিতে), ত্বকে র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, পেশি ব্যথা, ক্লান্তি ও দুর্বলতা, চোখে ব্যথা বা লালচে ভাব দেখা যায়। জয়েন্ট ব্যথা কখনো কখনো কয়েক সপ্তাহ বা মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও