বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে নতুন অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাবনা

জাগো নিউজ ২৪ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৫, ১৩:২৩

২০২৫ সালের এপ্রিল। ঢাকার এক পোশাক কারখানার মালিক তুষার সাহেব মেইলের মাধ্যমে জানতে পারলেন, তার পণ্যের ওপর ৩৭% শুল্ক বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।দেশের বহু উদ্যোক্তার মতো তিনিও পড়লেন চরম দুশ্চিন্তায়। গণমাধ্যমে খবরটা ছড়িয়ে পড়তে সময় নিল না: যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পণ্যের উপর অতিরিক্ত ৩৭% 'পারস্পরিক শুল্ক' আরোপ করেছে, যা পূর্বের গড় ১৫% থেকে বেড়ে মোট ৫২% এর কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। এটি বাংলাদেশের রপ্তানি-নির্ভর অর্থনীতির জন্য এক গভীর সংকট তৈরি করবে। এই সংবাদ বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য এক বিরাট ধাক্কা। কিন্তু কেন এই শুল্ক? এর প্রভাবই বা কী? চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


দেশের একজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন: "এটা শুধু অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এখানে রাজনীতিও জড়িত। যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে চায়, তাই বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতেও চাপ তৈরি করছে।" যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য মতে, বাংলাদেশ আমদানিকৃত মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪% শুল্ক আরোপ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় তারা রিসিপ্রোকাল (পাল্টা) শুল্ক আরোপ করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো-বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্য বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের গড় আমদানি শুল্কহার ৮-১০ শতাংশের বেশি নয়।


প্রাথমিক ধাক্কা,


প্রাথমিক ধাক্কায় সাভারের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিক সুমি আক্তার গত মাসে তার চাকরি হারিয়েছে। "ফ্যাক্টরি মালিক বললেন, অর্ডার কমে যাচ্ছে, তাই ১০০ জনকে ছাঁটাই করতে হচ্ছে," সুমি কেঁদে ফেললো। শুধু সুমি নয়, এভাবে হাজারো শ্রমিক চাকরি হারাচ্ছে।



নরসিংদীর পাটকল শ্রমিক জাহাঙ্গীরের গল্পও প্রায় একই রকম। "আমাদের কারখানার ৩০% উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে," তিনি জানালেন। মার্কিন ক্রেতারা এখন পাটের ব্যাগের বদলে সস্তা অন্য পণ্য কিনছে।


বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে যা রপ্তানি করে,


বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে, যার একটি বড় অংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রে-দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে। ২০২৪ সালে এই বাজার থেকে আয় হয় প্রায় ৮.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে তৈরি পোশাকের বাইরেও বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতভিত্তিক পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ধীরে ধীরে বৈচিত্র্য আনতে শুরু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: চামড়া ও চামড়াজাতীয় পণ্য, ওষুধ, প্লাস্টিক, মনোহারি পণ্য। প্রতিবছর বাংলাদেশ মার্কিন বাজারে ৮-১০ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাতীয় পণ্য, ২-৩ কোটি ডলারের ওষুধ, ১-২ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য ও মুদি পণ্য রপ্তানি করে।


যুক্তরাষ্ট্র থেকে যা আমদানি হয়,


জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যভান্ডারে দেখা যায়, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯১ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের কাঁচামাল রয়েছে ২৯ কোটি ডলারের এছাড়া অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের পণ্য এসেছে ২৬২ কোটি ডলারের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি পণ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রড তৈরির কাঁচামাল পুরোনো লোহার টুকরা বা স্ক্র্যাপ, এলপিজির উপাদান বিউটেন, সয়াবিন বীজ, বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল তুলা, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), হুইস্কি, গাড়ি, গম, উড পাল্প, পুরোনো জাহাজ, সয়াকেক, কাঠবাদাম ইত্যাদি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও