
মশা বাড়লেও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১৩ বছরের শিশু ফারহান আহমেদ তিন দিন ধরে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ৭ দিন ধরে অসুস্থ ফারহানের বাসা মগবাজারের রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়সংলগ্ন এলাকায়। ওই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। এলাকাটিতে মশার উপদ্রব ব্যাপক বেড়েছে।
মশকনিধন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই এলাকার বাসিন্দা আলফাজ উদ্দিন ক্ষোভের সঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সব পদক্ষেপ শুধু মিডিয়া ও ফেসবুককেন্দ্রিক। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
মশকনিধন কার্যক্রম না থাকায় ডিএসসিসির বিরুদ্ধে একই রকম ক্ষোভ জুরাইনের বাসিন্দা মিজানুর রহমানের। তিনি বলেন, মশা এতই বেড়েছে যে হাঁটার সময়ও কামড়ায়। এত মশা আগে কখনো ছিল না। এলাকায় ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সিটি করপোরেশনের মশা মারার স্প্রে বা অন্যান্য কার্যক্রম এই এলাকায় আসে না।
সরেজমিনে ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ এলাকার মানুষেরই মশকনিধন কার্যক্রম নিয়ে একই অভিযোগ। ডেঙ্গুর মৌসুমেও মশা নির্মূলের কার্যক্রম নেই। ফলে রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় বেড়েছে মশার বিস্তার, উপদ্রব। বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ডিএসসিসিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। বিভিন্ন এলাকার মানুষ বলেন, মশার উপদ্রব ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সিটি করপোরেশনের টনক নড়ছে না।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা, নর্দমা, খালি জায়গায় জমে থাকা পানি ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজননস্থল হয়ে উঠেছে। মেয়র হিসেবে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে ডিএসসিসিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। ডিএনসিসিতে এমন জটিলতা না থাকলেও মশকনিধন কর্মসূচি চলছে ঝিমিয়ে।