মারণাস্ত্র না থাকলে ‘পুলিশের নিরাপত্তা’ দেবে কে?

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৭

গত বছরের ৫ আগস্টের পর দীর্ঘদিন একধরনের ট্রমার মধ্যে দিয়ে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেকে দায়িত্বের বাইরে ছিলেন দীর্ঘ সময়। অনেকে চাকরিতেই আর ফেরেননি। যারা এখন দায়িত্ব পালন করছেন তারাও কাজ করছেন ঝুঁকি নিয়ে। থানা-ফাঁড়ি থেকে লুট করা অনেক অস্ত্র-গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। অনেক অস্ত্র চলে গেছে সন্ত্রাসীদের হাতে।


এ অবস্থায় পুলিশকে যদি মারণাস্ত্র ব্যবহার করতে না দেওয়া হয় তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, সাহস কিংবা ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ কাজ করতে পারবে না। পুলিশ যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ধরতে অভিযান চালাবে, তাদের নিরাপত্তা কে দেবে। মারণাস্ত্র না থাকলে পুলিশকেই বা অপরাধীরা সমীহ করবে কেন। পুলিশকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার চেয়ে কোথায়, কোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে, অযাচিতভাবে ব্যবহার করলে কী শাস্তি হবে- এসব বিষয়ে ভাবা উচিত। মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা তো সমাধান নয়।


ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব কথা বলেন।


ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না দিলে পুলিশ আক্রান্ত হলে সেই দায় কার। পুলিশকে নিরাপত্তা দেবে কে। তখন কি পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে অন্য বাহিনীকে আনা হবে?



পুলিশ বাহিনীকে মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত


গত বছর জুলাই-আগস্টের আন্দোলন দমনে নির্বিচারে অস্ত্র ব্যবহার করে ভাবমূর্তির সংকটে থাকা পুলিশ বাহিনীকে আর কোনো মারণাস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোনো মারণাস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। শুধু আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে থাকবে। ১২ মে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিরোধীদের আন্দোলন দমনে যেন মারণাস্ত্র ব্যবহার না হয়, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গত সরকারের আমলে এর ব্যবহার বিপজ্জনক হারে হয়েছে। পুলিশ তো শুধু আন্দোলন দমন করে না, সন্ত্রাসী, ডাকাত, অস্ত্রধারী, জঙ্গি, জলদস্যুদের গ্রেফতারে অভিযান করতে হয়। যেখানে এরকম প্রতিটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকে, সেখানে পুলিশ নিরস্ত্র অবস্থায় গিয়ে সফল হতে পারবে না।’


পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকা না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অস্ত্র থাকলেই ব্যবহার করা যাবে, এমন নয়। ব্যবহার না করলেও সঙ্গে অস্ত্র থাকা একটা শক্তি, অপরাধীদের জন্যও এটা একটা ভয়। এখন অস্ত্র না থাকলে সেই ভয়টাও থাকবে না, একই সঙ্গে পুলিশের মনোবলও ভেঙে যাবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও