‘স্যার, ৫ বছর’ স্লোগান: তোষামোদ, দখলদারিত্ব না গণদাবি?

বিডি নিউজ ২৪ কামরান রেজা চৌধুরী প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৫, ২১:৫২

ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে গেলে কিছু মুসল্লি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন, ‘স্যার, ৫ বছর; দালালদের কথা শুনবেন না।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো বটেই, মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ পেয়েছে সেদিনই।কোনো সংবাদমাধ্যম আলাদা শিরোনাম করেছে, কোনোটি আবার ঈদ জামায়াতের খবরের ভেতরেই রেখেছে প্রসঙ্গটি।


এবারই প্রথম নয়, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করতে গেলেও একই রকমভাবে কিছু মুসল্লি মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকতে দাবি করেছিলেন। কেউ কেউ রীতিমতন মিছিল করার অবস্থা সৃষ্টি করেছিলেন। এর ওপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে, দেশের জনগণ অধ্যাপক ইউনূসকে কমপক্ষে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চান।


রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছর এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে প্রধান উপদেষ্টার এমন ঘোষণার পরদিন ঈদ জামাতে ওই দাবি করা হয়।


বক্তব্যটিকে ব্যাখ্যা করতে গেলে বলা যেতে পারে, ওই সকল ‘জনগণ’ চান দেশে যেন আগামী পাঁচ বছর কোনো নির্বাচন না হয় এবং ড. ইউনূস কমপক্ষে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকেন।


এই বক্তব্য অনেকটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিছু নেতার মতো যারা পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামক দল গঠন করেছেন। যারা এই দাবি তুলেছেন তারা এনসিপি নেতাকর্মী সেটি না হলেও তাদের সমমনা একথা বলা যায়। বাংলাদেশের দ্বিদলীয় ব্যবস্থার প্রতি বিরক্ত কিছু সাধারণ আবেগী মানুষও সেখানে থাকতে পারেন।



মুখে নির্বাচনের কথা বললেও এনসিপি বার বার নির্বাচনের সঙ্গে ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘না হলে’, ‘করতে হবে’ ইত্যাদি শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। এই কথার অর্থ হতে পারে, নির্বাচন তাদের প্রাধান্য নয়।


‘দালালদের কথা শুনবেন না’—এই উক্তির আরেকটি শব্দ ‘দালাল’ শব্দটি সরলীকরণ করলে দাঁড়ায়, এই দালাল হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং অন্যান্য সমমনা দল যারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় বিএনপির এক নেতা নির্বাচনের দাবি করায় এনসিপির এক শীর্ষ নেতা অভিযোগ করেন, তিনি ভারতের সুরে কথা বলছেন। জবাবে বিএনপি নেতা বলেছেন, তাহলে যারা নির্বাচন চাচ্ছে না তারা কি আমেরিকা ও চীনের সুরে কথা বলছে!


রাজনৈতিক দল ছাড়াও আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে ‘দালাল’ হিসাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে চিহ্নিত করা হয়েছে: সেটি হলো বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে যিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছেন।


তবে প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক দল এবং অন্যরা কার দালাল? ‘স্যার, ৫ বছর’ গ্রুপের কথায় তারা ভারতের দালাল। যদিও এই ভারতীয় দালালের মধ্যে আর কারা আছে জানতে চাইলে ইউনূস-অনুরাগীরা আওয়ামী লীগের দালাল, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসরকেও সামনে আনবে।বাস্তবতা হচ্ছে, এই দলটির নেতারা হয় পলাতক, নয় জেলে।কর্মী-সমর্থকরা ভীতসন্ত্রস্ত।নির্বাচন নিয়ে ভাববার সাহস ও সুযোগ তাদের নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও