ঈদযাত্রায় সড়কে ৩ সদস্যকে হারিয়ে পরিবারটির সামনে এখন ‘শুধুই অন্ধকার’
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডের একটি শয্যায় শুয়ে আছেন মাকসুদা বেগম। তাঁর হাতে স্যালাইন চলছে। পাশের শয্যায় বসে আছেন ছেলের স্ত্রী মরিয়ম। কোলে রয়েছে তাঁর দুই শিশুসন্তান। তখনো মাকসুদা ও মরিয়ম জানেন না যে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সেই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তাঁদের পরিবারের তিনজন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করটিয়া বাইপাস এলাকায় মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় মাকসুদার স্বামী আমজাদ মণ্ডল এবং দুই ছেলে রাহাত ও অতুল মণ্ডল ঘটনাস্থলেই মারা যান। আমজাদ মণ্ডলের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার কামারচর গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। কনস্ট্রাকশন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
দুর্ঘটনার পর বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনেরা খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন। অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মাকসুদার মাথায় ব্যান্ডেজ রয়েছে, তাঁকে ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। পাশের শয্যায় বসা মরিয়মের আঘাত ততটা গুরুতর নয়। তাঁর পাশে রয়েছে তিন বছরের ছেলে মাহফুজ ও দেড় বছরের মেয়ে রজমনি। সন্তানদের জড়িয়ে ধরে তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। স্বজনদের কাছে স্বামীর খোঁজ জানতে চাইছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও দেবর নিচতলায় ভর্তি আছেন এবং সুস্থ আছেন।