
ভয় দেখাচ্ছে কুশিয়ারার ভাঙন
উজানের ঢল নেমে আসছে সিলেট অঞ্চলে। এতে অঞ্চলের কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়ছে। নদীটির ডাইকে (নদী রক্ষা বাঁধ) ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি ঢুকে পড়ছে গ্রামগুলোয়। এর ফলে প্রায় ১০০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মৌলভীবাজারে মনু নদের পানি বাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। আর উজানের ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গতকাল সোমবার কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়েছে। এতে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর, খানপুর, আলীপুর, নতুন কসবা, কাতিয়া, পাইলগাঁও, আলাগদি, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার, কদরপাড়াসহ প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গতকাল কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে রানীগঞ্জ বাজারে ঢুকেছে। এই বাজারের ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, বাজারে এখন হাঁটুসমান পানি। অনেকের দোকানে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহ বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি রয়েছে। তবে এখনো কোনো পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।’
সিলেটের জকিগঞ্জে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি এবং ভারতের বরাক নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর ডাইকের তিনটি জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত রোববার রাত আড়াইটার দিকে জকিগঞ্জ সদর ইউপির রারাই গ্রামের ডাইক ও ভোররাতের দিকে একই ইউনিয়নের বাখরশাল গ্রামের ডাইক এবং গতকাল সকাল ৮টার দিকে খলাছড়া ইউপির লোহারমহল গ্রামের ডাইক ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। এতে আশপাশের ২৫ থেকে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া পৌর শহরের নিকটবর্তী কেছরী গ্রামের ডাইকের ওপর দিয়ে শহরে ঢুকছে কুশিয়ারার পানি। মাইজকান্দী গ্রামের ডাইকের অংশ ধসে পড়েছে নদীতে। জকিগঞ্জ ইউনিয়নের ছবড়িয়া, সেনাপতির চক, সুলতানপুর ইউনিয়নের ইছাপুর, খলাছড়া ইউনিয়নের একাধিক স্থান, বারঠাকুরী ইউনিয়নের পিল্লাকান্দী, আমলশীদসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক জায়গায় ডাইকের ওপর দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- নদী ভাঙন
- নিম্নাঞ্চল প্লাবিত