ধোঁয়াশায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ

www.ajkerpatrika.com আব্দুর রাজ্জাক প্রকাশিত: ০৭ মে ২০২৫, ১০:৪৭

ট্রাম্প নিজে ঘোষণা করেছিলেন, রিপাবলিকান পার্টি, অর্থাৎ ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হতো না। যুদ্ধের প্রায় তিন বছর পরে ক্ষমতায় রিপাবলিকান পার্টি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই সারা বিশ্ব মনে করেছিল তিনি ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই যুদ্ধের ইতি ঘটবে। সারা পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষের আশা ভঙ্গ হতে বেশি সময় লাগেনি। যুদ্ধ বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আগের মতোই যুদ্ধ চলছে, তবে বর্তমানে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে এই যুদ্ধে রাশিয়া কিছুটা হলেও অগ্রগামী। আমেরিকায় কে ক্ষমতায় বা কে ক্ষমতায় না, তেমন কিছু মনেই করছে না রাশিয়া। তারা বীরদর্পে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, একের পর এক ইউক্রেনের কিছু কিছু অংশ প্রতি সপ্তাহেই দখল করে চলেছে।


বেশ কয়েক মাস আগে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা দখল করে নিয়েছিল ইউক্রেন। সবাই বলাবলি করছিল, রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়বে, রাশিয়া আলোচনায় বসবে, রাশিয়া ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল—দনবাসের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া—এই অঞ্চলগুলোর ব্যাপারে আলোচনায় বসবে রাশিয়া, এটা অনেকেই মনে করেছিল। কিন্তু দেখা গেল, রাশিয়া তেমন কোনো আলোচনার উদ্যোগ নিল না, কুরস্ক অঞ্চলে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করল। রাশিয়া তাড়াহুড়ো না করে আস্তে-ধীরে ইউক্রেনকে প্রতিহত করতে লাগল। ইউক্রেন অধিক সৈন্যসামন্ত নিয়ে কুরস্ক অঞ্চলের ঘাঁটি মজবুত করতে আরম্ভ করল। রাশিয়া শেষ অবধি কুরস্ক অঞ্চল নিজেদের আয়ত্তে নিল সপ্তাহ দুই হবে। ইউক্রেন এখানে ৩৫ হাজার সেনা হারিয়েছে, প্রচুর সামরিক সরঞ্জামসহ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। একেবারেই বিপর্যস্ত অবস্থায় এই অঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। ইউক্রেনকে এই বুদ্ধি কে দিয়েছিল? নিজের ভূখণ্ড অরক্ষিত রেখে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড আক্রমণ করে দখলে নেওয়া—এই বুদ্ধি ছিল বাইডেন প্রশাসনের। ইউক্রেন এখানে তাদের অনেক শক্তির ক্ষয় করেছে, যার মাশুল এখন দিচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও