কয়েক দিন আগে ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম খুন হন। দুই নারী শিক্ষার্থীর প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ হাসির অভিযোগে স্থানীয় একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হন জাহিদুল। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। জাহিদুল রাজনৈতিকভাবে ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড নিশ্চিতভাবে আমাদের সমাজের বিশেষ করে তরুণদের মধ্যকার অসহিষ্ণুতা ও বিকারহীন ক্ষমতাচর্চার প্রতিচ্ছবি।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কয়েকজন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ ওঠে। এটিকে বিএনপি ও ছাত্রদল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে চিত্রিত করে বিবৃতি দেয় এবং কর্মসূচি পালন করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও পাল্টা বিবৃতি দেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, পাল্টাপাল্টি এই বিবৃতিতে একটা ২২ বছরের তরুণের সম্ভাবনাময় জীবনের অবসান হলো, মা-বাবা যে তাঁর প্রিয়তম সন্তানকে হারালেন— সেই ক্ষতি, সেই শোক কি পূরণ হবে?