বাবার বিষয়ে স্বার্থের সংঘাতের শঙ্কা থেকে দুঃখ প্রকাশ করেছি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২

সংস্কার, জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, নিজের মন্ত্রণালয়ের কাজ, বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স, সাবেক এপিএসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগসহ নানা বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। 


শুরুটা সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে হওয়া উচিত। এখন যে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটি আপনার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স। আপনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আর কী বলবেন?


আসিফ মাহমুদ: অনেকেই বলার চেষ্টা করছেন যে এটা (বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স) অপরাধ কিংবা অন্যায়। দুঃখ প্রকাশ করার কারণে হয়তো এ ধারণা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের আইনে এটা অপরাধ বা অন্যায় কোনোটাই নয়। কেননা ঠিকাদারি লাইসেন্স করা বা যেকোনো ব্যবসায়জড়ানো সবার নাগরিক অধিকার। যেহেতু লাইসেন্সটি ব্যবহার করে কোনো কাজ নেওয়া হয়নি, সেহেতু এটি স্বার্থের সংঘাতের (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) মধ্যেও পড়ে না। তবে স্বার্থের সংঘাত হওয়ার আশঙ্কার জায়গা থেকে আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি। পরে বাবার আবেদনে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।


আপনি দুঃখ প্রকাশের পর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা আলোচনা হচ্ছে যে প্রভাব ছাড়া এত দ্রুত লাইসেন্স পাওয়া বাংলাদেশে খুব কঠিন। আপনার জবাব কী হবে?


আসিফ মাহমুদ: লাইসেন্সটা হয়েছে আমাদের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে এবং এই লাইসেন্সের বিষয়টা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যায়েই আসলে নিষ্পত্তিযোগ্য।...সেই পর্যায়ে যখন একটা সিদ্ধান্ত হয়, আমার অফিশিয়ালি সেটা জানার উপায় নেই। আনফিশিয়ালিও আমি এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না অথবা বাবার কাছে থেকেও আমার এ বিষয়টি জানা হয়নি।


আপনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রথম প্রজ্ঞাপনে লেখা ছিল যে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরে শুনলাম তিনি পদত্যাগ করেছেন। আসলে বিষয়টি কী?


আসিফ মাহমুদ: সংশোধিত প্রজ্ঞাপন এসেছে। পদত্যাগপত্রের কপিটাও হয়তো আপনারা পেয়েছেন। ২৫ মার্চ সম্ভবত পদত্যাগপত্রটা আমাদের মন্ত্রণালয়ে জমা হয়। ঈদের ছুটির পরে পদত্যাগের আবেদনটা গ্রহণ করি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে অব্যাহতির কথাটা লেখা ছিল। সংশোধিত প্রজ্ঞাপন ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা আছে যে পদত্যাগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অব্যাহতি। এখানে একটা ‘মিসকমিউনিকেশন’ হয়েছিল।


মোয়াজ্জেমের যখন নিয়োগ হয়, তখনই তিনি আমাকে বলেছিলেন স্থায়ী চাকরির সুযোগ এলে তিনি এই চাকরি (এপিএস) ছেড়ে দেবেন। তাঁর ব্যাংকে চাকরির ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) এগিয়ে আসছে। বিসিএসেরও লিখিত পরীক্ষা সামনে। সেই জায়গা থেকে মোয়াজ্জেম পদত্যাগের আবেদন করেন এবং আমি তা গ্রহণ করি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও