
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট কতটা যৌক্তিক?
গত ৫ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তাদের রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পেশ করেছে। এর আগে গত ৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনে সাবেক আমলা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এ কমিশন গঠন হয়েছিল। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় ‘একটি জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে’ এই কমিশন গঠন করা হলো।
প্রসঙ্গত কোন পরিস্থিতিতে এই কমিশন গঠন করা হলো তা বিবেচনায় রাখতে হবে। ১৫ বছর ধরে দেশে একটি অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল। আওয়ামী সরকারকে ফ্যাসিবাদী হতে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র। তারা ফ্যাসিবাদী শাসনের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের প্রায় সব অঙ্গই ফ্যাসিবাদী শাসনকে দৃঢ় ও সুসংহত করার প্রকল্পে নিযুক্ত ছিল। একটি রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সংগত কারণেই এ অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে কার্যকর ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে সরকার কয়েকটি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন গঠনের পেছনে একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রের কোনো অঙ্গ যেন ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠার সহায়ক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে না পারে সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সরকারের এ বৃহত্তর লক্ষ্য সামনে রেখে জনপ্রশাসন কমিশন গঠন করা হয়। সেই কমিশন সম্প্রতি তাদের রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দিয়েছে।