মৃত্যুক্ষণ জানা মানুষের আকুতি

জাগো নিউজ ২৪ মোস্তফা হোসেইন প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৪০

তিনি আর মাত্র আধা ঘণ্টা বেঁচে থাকবেন, মৃত্যুদূত তার সামনে। মরণকালে চোখে ভাসছে মায়ের ছবি-দেশের ছবি। ভাগ্যের অন্বেষণে ইতালি যেতে না পারার দুঃখ এখন বড় নয়, বেঁচে থাকার সামান্য নিশ্চই নেই। এমন মৃত্যুপথযাত্রী এবং লিবিয়ায় দালালচক্রের হাতে বন্দী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাসেল ভাবছিলেন, মাকে শান্তি দিতে না পারার ব্যর্থতা বিষয়ে। মাকে জীবনের শেষ আকুতির কথা জানালেন -‘আম্মা আমারে মাফ করছোনি, আর আধা ঘণ্টা বাঁচুম’।সন্তানের জীবনের এমন শেষ আকুতি কীভাবে সইতে পারেন মা! একটা সুস্থ-সবল মানুষের মুখে নিজের আসন্ন মৃত্যুসংবাদ কাউকে না কাঁদিয়ে কি পারে?


এমন নিষ্ঠুর কাণ্ডের কারণ, জঘন্য মনোবৃত্তির মানবপাচারকারী চক্রের হিংস্র-পশুসুলভ মানসিকতা। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার রাসেল মিয়া নামের ইতালি অভিবাসন প্রত্যাশী এক তরুণের। পৈতৃক ঘরবাড়ি বিক্রি করে ১৫লাখ টাকার বিনিময়ে যিনি ইতালি প্রবাসী হতে চেয়েছিলেন। আশা ছিল পরিবারের মুখে হাসি ফুটাবেন। সংসারের অসচ্ছলতা দূর করে নিজেও সুখের জীবন পাবেন। কিন্তু বিধি বাম। দালালরা তাকে নিয়ে যায় লিবিয়া। ওখানে তিনি বন্দী হয়ে পড়েন মানব দালালচক্রের হাতে। তারা রাসেল মিয়াকে জিম্মি করে তার পরিবার থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে নেয়। তারপরও মুক্তি দেয়নি তাকে। আরও টাকা চাই ওদের। আরও চাই ১০ লাখ। দরিদ্র রাসেলের পরিবার কোথায় পাবে টাকা? পাষণ্ড দালালচক্র ১০ লাখ টাকা আদায়ের জন্য অমানসিক নির্যাতন চালায় তার ওপর। মা জানলেন,তার সন্তান নরপশুদের অত্যাচারে জীবনবিপন্ন অবস্থায়। দূরদেশে এমন মৃত্যুর দুয়ার থেকে কীভাবে ফিরিয়ে আনবেন তার বুকের ধনকে। মায়ের আকুতি শুনেনি ঘাতকেরা। রাসেলের শরীরে বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে পাষণ্ডের দল। সবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি রাসেল মৃত্যুর কাছে হার মানেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও