ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক : শান্তি নাকি সংঘাত?

ঢাকা পোষ্ট অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার দত্ত প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৫, ২০:৪৬

বৈশ্বিক রাজনীতির আকাশে সুশৃঙ্খল নৌকা এখনো উথাল-পাথাল। একদিকে যেখানে ইউক্রেনের যুদ্ধ, অন্যদিকে চীনের উত্থান, অর্থনৈতিক সংকট এবং গঠনতান্ত্রিক পরিবর্তনের আশঙ্কা। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠক এক নতুন দৃষ্টিকোণ এনে দিয়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে।


৬১তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের (এমএসসি) এই বৈঠকটি শুধুমাত্র একটি আলোচনার মঞ্চ ছিল না, বরং বৈশ্বিক সংকট ও উত্তরণের একটি জীবন্ত দর্পণ হিসেবেও হাজির হয়েছে। এই সম্মেলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইউক্রেন সংকট, রাশিয়া এবং পশ্চিমা শক্তির সম্পর্ক এবং সেগুলোর মধ্যবর্তী কৌশলগত কদর।


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরের মতো ইউক্রেনকে সরাসরি সমর্থন না দিয়ে বরং ন্যাটো সদস্যদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির জন্য। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর তহবিলে আর এককভাবে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করবে না। অন্যদিকে, জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের আরও সরাসরি ও জোরালো সমর্থন দাবি করেছেন, যা ট্রাম্পের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


এই বৈঠকটি এমন একটি সময় অনুষ্ঠিত হয়েছিল যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক পটভূমি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। চীন, রাশিয়া, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র—এই দেশগুলোর মধ্যে চলমান উত্তেজনা ও চুক্তি-বিরোধের মাঝে ইউক্রেন এক গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক অবস্থানে দাঁড়িয়ে।



২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এর বৈঠকটিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের অসন্তুষ্টি এবং চিৎকার-চেঁচামেচির ঘটনা যেন গোটা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটকেই নতুনভাবে পরীক্ষা করল। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যখন বলেছিলেন, ‘যদিও ট্রাম্প চিৎকার করছিলেন, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করা সম্ভব,’ তখন এই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পরবর্তী ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।


প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের অনেকটা পটভূমি তৈরি করেছে ইউক্রেন যুদ্ধের অবস্থা। ২০১৯ সালে যখন ট্রাম্প ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত হন, তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে এক ধরনের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল।


ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আশাবাদী যে, এই বৈঠকের মাধ্যমে পরিস্থিতি শিথিল হতে পারে। যদিও বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সংবাদ সম্মেলন না করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তবুও তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, তিনি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে চলছেন।


এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও আলোচনায় যোগ দেন এবং মন্তব্য করেন, ‘আপনি একবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন না।’ এই মন্তব্যের পর ট্রাম্পও ভ্যান্সের সমর্থনে মাথা নেড়ে সায় দেন। এই ধরনের মন্তব্য এবং বৈঠকের পরবর্তী গতি-প্রকৃতি ইউক্রেন সংকটকে নতুন ধরনের জটিলতায় পরিণত করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও