‘শয়তানের নিশ্বাস’ থেকে নিরাপদ থাকার উপায়

ঢাকা পোষ্ট কবিরুল বাশার প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:১৪

গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী নিউমার্কেটে শপিং করতে গিয়েছিলেন। শপিং থেকে এসে আমাকে খুব আতঙ্কিত হয়ে বলছিলেন আর কখনো একা বাইরে যেতে পারবে না। মার্কেটে বোরকা পরা এক মহিলা তার সামনে এসে জুতা দেখিয়ে বলছে, ‘আপা জুতাটা কিনলাম দেখেন তো কেমন হয়েছে?’


জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়ায় আগে থেকেই আমার পরিবারের সব সদস্যদের আমি শয়তানের নিশ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ ও তার কার্যকারিতা সম্পর্কে আগেই জানিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে তার জানা থাকার কারণে ওই মার্কেটে সে বেঁচে গিয়েছে। আমার স্ত্রী দুই কদম পিছিয়ে যখন ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কেন আমাকে এটি দেখতে দিচ্ছেন?’


তখন খুব দ্রুত গতিতে মহিলা পালিয়ে গেলেন। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকেই এমন ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা নানারকম ভিডিও দেখছি এ বিষয়ে। বিভিন্ন ভিডিওতে আপনারা দেখেছেন কোনো একজন অপরিচিত ব্যক্তি একজন পথচারীকে কোনো একটি ঠিকানা পড়তে দিচ্ছেন। ওই ঠিকানাটি পড়ার সময় টোকা দিয়ে বা তার নিশ্বাসের সঙ্গে স্কোপোলামিন (Scopolamine) পাউডার শরীরে ঢুকে নার্ভাস সিস্টেমকে আক্রান্ত করছে এবং তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে ছিনতাইকারীর হাতে।


স্কোপোলামিন, যা সাধারণত ব্ল্যাক ম্যাজিক বা শয়তানের নিশ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ নামে পরিচিত, একটি শক্তিশালী ওষুধ যার অপরাধমূলক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষের কাছে যা আতঙ্ক হয়ে উঠেছে। স্কোপোলামিন মূলত চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হলেও, অপরাধীরা একে ব্যবহার করে জনসাধারণ বশীভূত এবং বিভ্রান্ত করে ছিনতাই বা চুরি করে থাকে।



বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। সেই হত্যার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে আরও একজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে একজনের কাছে প্রথমবারের মতো স্কোপোলামিন পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। বোতলের ভেতর সাদা পাউডার আকারে কয়েক গ্রাম স্কোপোলামিনসহ আরও কয়েক ধরনের মাদক জব্দ করা হয়। পরে আদালতের আদেশ নিয়ে সিআইডি’র ল্যাবে টেস্ট করার পর সেখানে স্কোপোলামিন শনাক্ত হয়।


স্কোপোলামিন কী?


স্কোপোলামিন হলো একটি ট্রোপেন অ্যালকালয়েড, যা Solanaceae (নাইটশেড) পরিবারের গাছ, বিশেষত হেনবেন এবং ধুতরাসহ একই পরিবারের বেশকিছু কাছে পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এটি এই পরিবারের গাছ থেকে আহরিত হয়েছিল পরে কেমিক্যালি সিন্থেসিস করে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা হয়েছে।


স্কোপোলামিন মূলত একটি সিন্থেটিক ড্রাগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওষুধ তৈরিতে এর ব্যবহার আছে। বমি বমি ভাব, মোশন সিকনেস এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন পরবর্তী রোগীর জন্য ওষুধে এর ব্যবহার রয়েছে। অতীতে এটি মানসিক রোগের চিকিৎসায় এবং সত্য কথা বলার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তবে, এর অন্ধকার দিকটি হলো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার, বিশেষত চুরি এবং হামলার ক্ষেত্রে। এটি তরল এবং পাউডার দুই রূপেই পাওয়া যায়।


স্কোপোলামিনের ইতিহাস


প্রাকৃতিকভাবে স্কোপোলামিন ধারণকারী কিছু গাছের মধ্যে রয়েছে Atropa belladonna (ডেডলি নাইটশেড), Brugmansia (এঞ্জেলস ট্রাম্পেট), Datura (জিমসন উইড), Hyoscyamus niger, Mandragora officinarum, Scopolia carniolica, Latua, এবং Duboisia myoporoides। প্রাচীন কাল থেকে বিভিন্ন সভ্যতায় এই গাছগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও