বায়ু দূষণে মানুষ মারা যায় কেন?

ঢাকা পোষ্ট ডা. আয়শা আক্তার প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:১১

বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবছর লক্ষাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বালু কণার আদর্শ মান ২.৫ (পিএম ২.৫)। অথচ বাংলাদেশে প্রতি ঘনমিটারে ১৫ মাইক্রোগ্রাম থেকে বেড়ে ৩৫ মাইক্রোগ্রাম হয়েছে।


আমাদের দেশে বায়ু ও পরিবেশ নিয়ে প্রায় ২০০টির মতো আইন আছে। কিন্তু এগুলোর প্রয়োগ খুব একটা দেখা যায় না। বর্তমানে বায়ু দূষণের জন্য নীতিমালা করা হয়েছে। অনেকগুলো প্রোগ্রামও হাতে নেওয়া হয়েছে। দূষণ কমানোর জন্য নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে অনেক ধরনের কার্যক্রম এবং গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


বায়ু দূষণ হলো বায়ুমণ্ডলে এমন কিছু পদার্থের উপস্থিতি যা মানুষ এবং অন্যান্য জীবের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। বায়ু দূষণের কারণে রোগ-ব্যাধি, অ্যালার্জি থেকে শুরু করে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়। প্রাণী এবং ফসলের ক্ষতির মতো অন্যান্য জীবন্ত প্রাণী এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের (জলবায়ু পরিবর্তন, ওজোন স্তর ক্ষয়) ক্ষতি করতে পারে।


মানুষের ক্রিয়াকলাপ এবং প্রাকৃতিক ঘটনা উভয়ের কারণে বায়ু দূষণ হতে পারে। গাড়ির কালো ধোয়া, কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া, জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কার্বন-মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, ধূলিকণা, সালফার-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি কারণে বায়ু দূষণ হতে পারে।



মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব। এটি প্রধানত শরীরের শ্বসনতন্ত্র এবং সংবহন তন্ত্রকে বেশি আক্রমণ করে। এমনকি বায়ু দূষণের কারণে হাঁপানি, ক্যান্সার, হৃদরোগ, সিওপিডিসহ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের মতো অসংক্রামক রোগও বেড়ে যায়। বিশ্বব্যাপী যেসব অসংক্রামক রোগের কারণে মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় তার অন্যতম কারণ বায়ু দূষণ।


অতিক্ষুদ্র কণা সহজেই মানুষের চোখ-নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে রক্তের সাথে মিশে যায়, যা ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, কিডনি লিভারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জটিল অঙ্গকে আক্রান্ত করে থাকে। বায়ু দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য। গর্ভপাত, জন্মগত ত্রুটি, শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে বায়ু দূষণের কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। 


শীতকালে বায়ু দূষণের পরিমাণ যখন বেশি থাকে তখন নিউমোনিয়া ও সিওপিডি রোগী অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। এ সময় মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়। অ্যাজমা রোগীদের শ্বাসকষ্টও বেড়ে যায়।


বায়ু দূষণের কারণে গর্ভবতী মায়েরা অক্সিজেন কম পান, ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম নেয়। বায়ু দূষণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে   ফুসফুসে ক্যান্সারও হতে পারে।


বায়ু দূষণের কারণে মানুষ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে যায়, এর ফলে খরচ বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। অর্থনৈতিকভাবে দেশ পিছিয়ে পড়ছে, শ্রমজীবী মানুষ তাদের কর্মঘণ্টা হারিয়ে ফেলছে, এর প্রভাবও পড়ছে অর্থনীতির ওপরে। বায়ু দূষণ বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূষণে উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও তামাকের কারণে হওয়া মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও