ডিপসিক বনাম চ্যাটজিপিটি: প্রযুক্তি যখন আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার

প্রথম আলো ড. বি এম মইনুল হোসেন প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:০০

একজন রাঁধুনি বা শেফের কথা চিন্তা করা যাক। প্রতিদিন ছোট একটা পরিবারের রান্না তিনি একাই করে ফেলতে পারবেন। হরেক রকমের রান্নায় পারদর্শী হওয়ায় নানা স্বাদের বাহারি রান্নার আয়োজন করতে পারবেন।


কিন্তু প্রতিদিন যদি একটা রেস্তোরাঁর রান্নার দায়িত্ব তাঁর ওপর পড়ে, তাহলে শত শত মানুষের রান্না একা তাঁর পক্ষে সীমিত সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয়। সমাধান হিসেবে ছোট ছোট কাজগুলো তিনি অন্য কাউকে ভাগ করে দিতে পারেন। যেমন শুধু পেঁয়াজবাটার জন্য একজন লোক, আলু কেটে দেওয়ার জন্য একজন লোক।


ধরা যাক, পেঁয়াজ কাটার ব্যক্তি একটি ব্লেন্ডিং মেশিন ব্যবহার করে কাজটুকু করেন। কিন্তু একই ধরনের কাজ হওয়ায় তিনি যদি একসঙ্গে ১০টা ব্লেন্ডিং মেশিন ব্যবহার করেন, তাহলে একই সময়ে ১০ গুণ বেশি কাজ করতে পারবেন।


এখানে প্রধান শেফকে কম্পিউটারের সিপিইউ, অর্থাৎ সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের (কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ) সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, যেটি কম্পিউটারের নানা ধরনের কাজ সম্পন্নে পারদর্শী। আমাদের ডেস্কটপ, ল্যাপটপ বা মুঠোফোনে যত কাজ করা হয়, তার সবকিছু কম্পিউটারের ব্রেন বলে পরিচিত এই সিপিইউতে ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়।


অপর দিকে পেঁয়াজবাটার কাজকে জিপিইউ, অর্থাৎ গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিটের কাজের সঙ্গে তুলনা করা যায়। দশটা ব্লেন্ডিং মেশিনকে দশটা কোর বা প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করা যায়। সিপিইউর করা জটিল কাজের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সরল, একযোগে করা সেই কাজগুলো হতে হয় একই ধরনের। একটি উচ্চমানের জিপিইউতে হাজার হাজার কোর থাকতে পারে, যেখানে সিপিউ কোর সংখ্যা হয় সাধারণত আটটি বা তার কিছুটা বেশি। এনভিডিয়ার জিফোর্স আরটিএক্স ৪০৯০ মডেলের জিপিইউতে ১৬ হাজার ৩৮৪টি কোর আছে।



ছবি, ভিডিও, বিভিন্ন গেম খেলার ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তিমূলক গণনার প্রয়োজন হয় বলে শুরুতে শুধু সে ধরনের কাজে জিপিইউ ব্যবহার করা হতো। সেখান থেকেই এর নামকরণে গ্রাফিক্যাল (চিত্রসংক্রান্ত) কথাটা এসেছে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক প্রসারের ফলে বিভিন্ন ধরনের মেশিন লার্নিং মডেল চালাতেও ব্যাপকসংখ্যক জিপিইউ প্রয়োজন হয়। মেশিন লার্নিং মডেল ট্রেনিং (প্রশিক্ষণ) মূলত কোটি কোটি গাণিতিক গণনার মাধ্যমে করা হয়। সে গণনার কাজগুলো একযোগে কম সময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় জিপিইউর কল্যাণেই।


বহুল আলোচিত চ্যাটজিপিটি এবং ভাষার জন্য প্রস্তুতকৃত সমজাতীয় বড় ধরনের মডেলগুলোকে (লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল) বিশাল পরিমাণ ডেটার মাধ্যমে ট্রেনিং করানো হয়। বলতে গেলে ইন্টারনেটে এযাবৎ লেখা প্রায় সবকিছুই সে ডেটার অন্তর্ভুক্ত থাকে। নির্দিষ্ট ভাষা জানা একজন ব্যক্তি যেমন একটি বাক্যের পর কী হতে পারে, তা অনুমান করতে পারেন বা ভাষার ব্যবহার করে নতুন ধারণা তৈরি করতে পারেন, একেবারে সঠিক না হলেও ভাষা মডেলগুলো সে রকম অনুমান করতে পারে, প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে, বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারে।


প্রবন্ধ লেখা থেকে শুরু করে অ্যাপ তৈরি, জীবনবৃত্তান্ত তৈরি, গাণিতিক সূত্র লেখা থেকে শুরু করে সারসংক্ষেপ তৈরি, কভার লেটার তৈরি, প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি, বর্ণনা থেকে শুরু করে ছবি কিংবা চার্ট তৈরি—কোনো কিছুই বাদ নেই ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের কাজের আওতা থেকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও