ট্র্রাম্পের চাপে কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি মানলেন নেতানিয়াহু
কাতারে গত বুধবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর এটা এখন নিশ্চিত যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এখন ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলে আশা করা যায় যে রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, শুরু হবে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া।
রোববারই নারী জিম্মিদের ছোট একটি দল ইসরায়েলে ফেরত আসবে। আর ঘটনাটি ঘটবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের ঠিক আগের দিন, যেমনটি তিনি চেয়েছেন। দুই মধ্যস্থতাকারী মিসর ও কাতারসহ ইসরায়েল ও হামাসের ওপর তিনি প্রবল চাপ প্রয়োগ করায় অবশেষে ১৫ মাসব্যাপী যুদ্ধের একটা বিরতি ঘটতে যাচ্ছে।
অনেক মূল্যের বিনিময়ে এই সুখবরটা এসেছে। জিম্মিদের অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে এক সপ্তাহের বিরতিতে যে কয়জন জিম্মি ফেরত এসেছিলেন, তাঁদের অবস্থা আমরা তখন দেখেছি। মাত্র ৫০ দিনেই তাঁদের শোচনীয় দশা হয়েছিল। আর এখন তো পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। জিম্মিদের অনেকেই ৭ অক্টোবর তো বটেই, তারপর থেকে বন্দিদশায় ব্যাপক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দিনগুলো অতিবাহিত করেছেন। আর তাই ফিরে আসার পর তাঁদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে ধীরে ধীরে সামলে ওঠার জন্য।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ইসরায়েল
- যুদ্ধবিরতি
- ইসরায়েলি সেনা