এনসিটিবি কি চাইলেই গ্রাফিতি সরিয়ে দিতে পারে

প্রথম আলো উম্মে ওয়ারা প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:০৮

১২ জানুয়ারি ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি ছাত্রসংগঠনের প্রতিবাদ ও আপত্তির মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নবম ও দশম শ্রেণির একটি পাঠ্যবইয়ে ব্যবহৃত ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, সংগঠনটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহারের সুযোগ নেই। সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসার পর নজিরবিহীন দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে গ্রাফিতিটি সরিয়ে অন্য একটি গ্রাফিতি তাঁদের ওয়েবসাইটে সংযোজন করেন। অথচ যে সংবিধানের দোহাই দিয়ে কাজটি করা হলো, সেই সংবিধান নিয়ে সংস্কারের আলাপ বা পুনর্লিখনের দাবি এখন সর্বজনবিদিত।


এদিকে গতকাল (১৫ জানুয়ারি) ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের ব্যানারে পাহাড়ি–সমতলের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী–তরুণদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় কয়েকজন আহত হন। হামলার সময় এ স্লোগান দেওয়া হয় ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি’। এটা কোনোভাবেই ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ সমাজের বার্তা দেয় না।


এটা স্বীকার করতেই হয়, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে যে কেউ তার মতামত প্রকাশের অধিকার রাখে। আর সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তাই একটি ছাত্রসংগঠনের জাতীয় পাঠ্যপুস্তকের কোনো একটি বিষয়বস্তু নিয়ে মতামত বা আপত্তি জানানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু এনসিটিবি যে উপায়ে কাজটি করল, তা অগ্রহণযোগ্য এবং ভালো কোনো কিছুর ইঙ্গিত দেয় না।



কেননা, পাঠ্যপুস্তকে কোনো তথ্য বা ছবি পরিবর্তন বা পরিমার্জন করার ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই একটি প্রক্রিয়া মানতে হয়। এ রকম কোনো কিছু করার জন্য নিশ্চয়ই নির্দিষ্টভাবে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকে। এ ছাড়া যেসব বিশেষজ্ঞ তাঁদের মূল্যবান চিন্তা থেকে গ্রাফিতিটি যুক্ত করেছেন, তাঁদের পরামর্শ নেওয়া শোভন ও কাম্য ছিল।


এবার আসি অন্য আরেক আলোচনায়। ছাত্রসংগঠনটি সংবিধান–সংক্রান্ত যে আলাপ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতিটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, তা কতটা সর্বজনগ্রাহ্য বা সর্বজনগ্রাহ্য নয়, তা বোঝার জন্য আদিবাসী শব্দটি নিয়ে বিতর্কটির রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী কী কী অর্থে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়, তা জানা জরুরি।


সেই আলোচনা শুরু করা যাক একটু পেছনে ফিরে এবং কী প্রেক্ষাপটে সংবিধানে শব্দটি শেষ পর্যন্ত আর জায়গা করে নিতে পারল না, সেটা জানার মধ্য দিয়ে।


জনসংখ্যা ও ঘরশুমারি ২০২২ অনুযায়ী, আদিবাসীরা বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১ ভাগ, মতান্তরে যা ১ দশমিক ৮ শতাংশ বলে ধরে নেওয়া হয়। অন্তত ৩৫ ভাষাভাষীর প্রায় ৫৪ ধরনের আদিবাসীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়াও টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, শেরপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, খুলনা, ঢাকাসহ অন্য অনেক জেলায় কমবেশি তাঁদের বসবাস রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও