যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের জন্যও আমার একই রকমের উপলব্ধি
বছরের শেষে ঢাকায় মুক্তি পেয়েছে জয়া আহসান অভিনীত সিনেমা ‘নকশি কাঁথার জমিন’। কেমন ছিল ছবিটির নির্মাণযাত্রা? সেই সূত্রে ঢাকায় ছবির মন্দা ব্যবসা, ঢালিউডের হালচাল, ইংরেজি বছরের বিদায় উদযাপন ও গণ-অভ্যত্থান নিয়ে কথা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে।
বছরের শুরুর দিকে আপনার ‘পেয়ারার সুবাস’ মুক্তি পেয়েছিল। শেষেও এল নতুন ছবি। আপনাকে অভিনন্দন। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘নকশি কাঁথার জমিন’ ছবিটা দেখে কী বললেন বিশিষ্টজনেরা?
জয়া আহসান: এখনো সবাই দেখছে, ভালো বলছেন। তবে আমাদের এই ছবি মুক্তিযুদ্ধের ছবি। মুক্তিযুদ্ধে অনেক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই মানুষগুলোর গল্প নিয়েই এই ছবি। সাধারণ মানুষ ছবিটা দেখে কী বলছেন, সেটা জানার অপেক্ষায় আছি। সাধারণ মানুষের কথা ইমপরটেন্ট। যারা দেখেছেন, তারা তো খুব ভালো বলছেন। তারা যে কথাগুলো বলছেন, এই সিনেমার সাহিত্যমান আছে, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ছবির গল্পটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ছবির মূল গল্প হাসান আজিজুল হক স্যারের, তিনিও গুরুত্বপূর্ণ এবং ছবির যে বিধবা, তারাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাকিটা আমরা বুঝতে পরবো যদি দর্শক ছবিটা পছন্দ করে।
বছরের শেষ মাসে বেশ কয়েকটি মোটামুটি মানের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ‘প্রিয় মালতী’, ‘৮৪০’, ‘নয়া মানুষ’। ছবিগুলো সেরকম দেখছে না মানুষ। কারণ কী বলে আপনার মনে হয়?
জয়া আহসান: এখন তো ছবি দেখার মুডে বাংলাদেশের দর্শকরা নেই। মাত্র বড় একটা ঘটনার ভেতর দিয়ে আমরা গেলাম। সেটা একটা কারণ। দ্বিতীয় কারণ হলো, মার্কেটিং পলিসি। হুট করে নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন সিনেমাটা মুক্তি দেবেন। তারা বিজয়ের মাসে এই সিনেমাটা ছাড়বেন। এর বাইরে প্রোডিউসাররা ভালো বলতে পারবেন যে, তারা কী চাইছেন। কেন তারা আরেকটু যত্নবান হচ্ছেন না। কিন্তু আমার মনে হয়, ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- সিনেমা মুক্তি
- গণঅভ্যুত্থান
- জয়া আহসান