রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রে সংস্কার ছাড়া দুর্নীতি দমন অসম্ভব

প্রথম আলো ইফতেখারুজ্জামান প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:১৪

শুরুতেই জানতে চাইব দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের কাজ কীভাবে এগোচ্ছে বা কীভাবে চলছে?


ইফতেখারুজ্জামান: টিআইবির কর্মী হিসেবে দুর্নীতি দমন বিষয়ে সমস্যাগুলো মোটামুটি জানা। প্রথমে কাজের পদ্ধতি নির্ধারণ করে আমরা বিভিন্ন অংশীজন, বিশেষ করে দুদকের বর্তমান-সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। দুর্নীতি দমন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত প্রসিকিউটর, আইনজীবী, বিচারক ছাড়াও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, পেশাজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি। ই-মেইলের মাধ্যমে সব ধরনের মানুষের কাছ থেকেও আমরা পরামর্শ চেয়েছি। এতে আমরা খুবই ভালো সাড়া পেয়েছি। ঢাকার বাইরে আমরা পরামর্শ সভা শুরু করেছি। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের কাজ শেষ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।


সংস্কারের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোকে আপনারা গুরুত্ব দিচ্ছেন?


ইফতেখারুজ্জামান: দুদক প্রতিষ্ঠার পেছনে টিআইবির একটি উদ্যোগ ছিল। ফলে দুদকের কার্যক্রমের প্রতি সব সময় আমাদের গভীর পর্যবেক্ষণ ছিল। আমরা দেখেছি, দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সময় দলীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেছে। দুদকে সচিব, মহাপরিচালক বা যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন, তাঁরা আসেন প্রশাসনিক ক্যাডার থেকে। রাজনৈতিক ও আমলাতন্ত্রের প্রভাবের কারণে দুদককে জিম্মি থাকতে হয়। এর পরের পর্যায়ের যে জনবল আছে, তাদের মধ্যেও বিভাজন ও বৈষম্য আছে। দুদকে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা আছে। সেগুলো থেকে দুদককে কীভাবে মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


এ ছাড়া দুদকের নিজস্ব যে আইন আছে, সেখানে কোথায় দুর্বলতা আছে, তা আমরা দেখছি। উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি, বিশেষ করে অর্থ পাচারের ক্ষেত্রে দুদক একা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। আইনগত ও বৈশ্বিক চর্চা অনুযায়ী আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের (বিএফআইইউ, এনবিআর, সিআইডি, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস) সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজগুলো করার কথা। সেটি হয়নি; বরং অসুস্থ প্রতিযোগিতা কাজ করেছে। এ বিষয়গুলোও আমরা দেখছি। অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া ছাড়াও আমরা দেখছি আন্তর্জাতিক চর্চা কেমন, নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে ও পরিপ্রেক্ষিতে তা কীভাবে প্রয়োগ করা যায়।



দুদক গঠনে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনেকে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম চলাকালে এ কমিটি গঠন নিয়েও সমালোচনা করেছেন, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?


ইফতেখারুজ্জামান: এটি আমাদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। সার্চ কমিটির মূল দায়িত্ব কমিশন গঠন। যেটি আবার আমাদের কাজের অন্যতম ক্ষেত্র। সেটির ওপরই অনেক কিছু নির্ভর করবে। এখন এটি হয়ে গেছে অনেকটা উভয়সংকটের মতো। যে পরিপ্রেক্ষিতেই হোক, দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। এখন দুদক এমন একটি প্রতিষ্ঠান, সেখানে এসব সদস্য না থাকলে কোনো সিদ্ধান্ত হয় না। ফলে যত দ্রুত সম্ভব কমিশন গঠন করা বাঞ্ছনীয়, আইনগতভাবেও বাধ্যবাধকতা আছে। কারণ, কী প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিদের বাছাই করা হয়, কাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাঁদের মৌলিক যোগ্যতা কী হবে—এসব বিষয় পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে। এখন তিন সদস্যের কমিশন, সেই সংখ্যা বাড়বে কি না, তাঁরা কোন পেশার হবেন, মেয়াদ কত দিন হবে—এসব বিষয় তো আমাদের বিবেচনা করতে হচ্ছে। আমাদের সুপারিশমালা প্রণয়ন, সেটির ওপর ভিত্তি করে সার্বিক সংস্কার—এসব সাপেক্ষে যদি নতুন কমিশন গঠন করা যেত, তাহলে সেটি ইতিবাচক এবং আরও বেশি সহায়ক হতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও