কঠিনেরেই তবে ভালোবাসতে হচ্ছে জ্যোতিদের

ঢাকা পোষ্ট বর্ষণ কবির প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:১০

এই তো মাস পেরোল মাত্র। মিরপুরের মিডিয়া ব্লকে আম্পায়ার কমিটির আয়োজনে প্রথমবারের মতো সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে নানা জায়গা থেকে পরীক্ষা দিয়ে বৈতরণী পার হওয়া নতুন আম্পায়ারদের। এর মধ্যে বাংলাদেশের ব্লেজার পরা কয়েকজন নারীও আছেন!


এই ব্লেজার আবার সাধারণ কোনো ব্লেজার নয়; বুক পকেটে বিসিবির বাঘটাও আছে। সেই ব্লেজার পরা নারীদের একজন হলেন শারমীন আক্তার সুপ্তা। যতদূর মনে পড়ে অনেক নম্বর নিয়েই উত্তীর্ণদের তালিকায় ছিলেন তিনি।


নতুন দিনের আম্পায়ার, ভবিষ্যৎ তৈরি করা সুপ্তাকে নিয়ে ফিসফিসানি উঠেই গিয়েছিল। তবে কি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ? না, সেটা হয়নি। গল্পের মজাটা এখানেই।


অনেকটা নাটকের পাণ্ডুলিপিতে ভীষণ ঝড় তুলে দেওয়া চরিত্রের আগমনের মতো শারমীন সুপ্তার প্রত্যাবর্তন। দেড় বছর পর তার জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা বেশ নাটকীয় বটে।


আম্পায়ার হতে চাওয়ার ইচ্ছের সঙ্গে এই ব্যাটারের ব্যাটের দূরত্ব তৈরি হয়নি। শারমীন সুপ্তা অ্যাম্পায়ারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আছেন কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে এখনো নিজেকে মাঠেই দেখেন। তাই দেড় বছর পর জাতীয় দলে আরেকবার সুযোগ পেয়ে ব্যাটের সঙ্গে তার সখ্যতার গল্পটা নতুন করে জানিয়ে দিলেন।


আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরে এসেই দাপুটে পারফরর্ম্যান্সে টপ অর্ডারের দায়িত্ব নিয়ে সামাল দিলেন চমৎকারভাবে। অথচ যে ম্যাচ অফিসিয়াল হওয়ার লক্ষ্য সুপ্তার তেমনই একজন সিরিজ জুড়ে সুপ্তা দুর্দান্ত পারফরর্ম্যান্স করার পরও ফারাজানা হক পিংকিকে বেছে নিলেন সিরিজ সেরা হিসেবে!



অবশ্য, সিরিজ জুড়ে আদতে দল হিসেবে খেলায় জুরি বোর্ডের পক্ষেও বেছে নেওয়া মুশকিল হয়ে গিয়েছিল- কাকে রেখে, কাকে সামনে আনেন। তাতে ফিরে আসার সিরিজে সুপ্তার মন খারাপ হয়নি।


নারীদের ক্রিকেটে যে সাফল্য সেটা পুরুষ ক্রিকেটের তুলনায় কোনো অংশে তো কম নয়ই, বরং বেশি। সম্প্রতি যদিও নিগার সুলতানা জ্যোতির দলে একটু ভাটার টান। ওপরের ব্যাটাররা রান দিতে পারছিলেন না। নাহিদাদের স্পিনটাও খুব বেশি বাঁক নিচ্ছিল না।


পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছিল যে, ২০২৫ সালে ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলাতে গেলে অনেকগুলো শর্তপূরণের বেড়াজালে আটকে ছিল বাংলাদেশ। সেই শর্তের একটি পূরণ হয়ে গেল, পাওয়া গেল এক ধরনের আত্মবিশ্বাস এই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে।


তিন ম্যাচের সবগুলো জয়ের কারণে চলতি বছরে নিজেদের শেষ তিন ওয়ানডের দুটিতে জয়ের সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে জ্যোতিরা। সেটা হলেই মিলে যাবে বিশ্বকাপের টিকিট।


তাই আইরিশ নারীদের বিপক্ষে জয়টাকে ছোট করে দেখার কোনো অবস্থা নেই। একইভাবে কাম-ব্যাক সিরিজে দুটি ফিফটিতে করা (১ম ওয়ানডেতে ৯৬, ২য় ওয়ানডেতে ৭২) সুপ্তার মোট ২১১ রানকেও আনতে হচ্ছে সবার আগে।


যে নারীর ব্যাটিং গড় ৭০.৩৩ তাকে তো আলোচনায় না এনে উপায় নেই। ফারাজানা হকের ২০২৩ সালের ভারতের বিপক্ষে এক সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮১ রানকে পেছনে ফেলাটাও নতুন মাইলফলক। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও