জি২০ সম্মেলন : বাংলাদেশের প্রাপ্তির জায়গা কি আছে?

ঢাকা পোষ্ট প্রশান্ত কুমার শীল প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:১৬

অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে পুরো পৃথিবী পার হচ্ছে। জি২০ সম্মেলনটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন আমাদের পৃথিবী দারিদ্র্য ও ক্ষুধা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সংকট মোকাবিলা, যুদ্ধ-বিদ্রোহ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।


বহু সমস্যার মাঝেও এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আসলে অনেকটা আলাদিনের চেরাগ। বিশেষ করে ছোট ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কাছে এটি একটি আশা ভরসার প্রতীক। এসব সম্মেলনের জন্য এই দেশগুলো সারা বছর তাকিয়ে থাকে। কারণ এসব সম্মেলন তাদের ভরসার জায়গা, আস্থার প্রতীক ও অর্থনৈতিক সাহায্যের করিডোর। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এসব সম্মেলন আদৌ কি কোনো কাজে দেয়?


বাস্তবতা হলো, মানুষ এবং ভূখণ্ড পারস্পরিক সাম্যবস্থার মধ্য দিয়ে এই ধরণীতে অবস্থান করে। তাই এই বাস্তুসংস্থান বলয়ে আমরা অনাদিকাল টিকে থাকি। শুধু ধনীদের জন্য এই পৃথিবী নয়, সবাইকে নিয়ে এই জনপদ। পৃথিবীতে মানুষ বাঁচলেই, এই বিশ্ব বাঁচবে। এই ধরিত্রীর অন্যতম একটি বড় উপাদান হলো জলবায়ু। একে এখন আর ছোট করে দেখার দিন নেই। মানুষ যে পরিমাণে পরিবেশ দূষিত করছে, একে যদি এখনই প্রতিরোধ করতে না পারা যায় তাহলে কঠিন দিন অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে।



ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর জোট জি২০ এর শীর্ষ সম্মেলন ১৮-১৯ নভেম্বর ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেকটা দ্বিধা বিভক্তি ও মতানৈক্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এইবারের সম্মেলন। বিশ্বনেতারা তাদের আলোচনায় জলবায়ু ইস্যুকে প্রাধান্য না দিয়ে বরং ইউক্রেন যুদ্ধ এবং হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফিরে আসা নিয়ে আলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বেশি।


স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে এসব সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে। পিছিয়ে পড়া দেশগুলো যেহেতু এই সম্মেলন নিয়ে মুখিয়ে আছে, তারা কি সত্যিই কিছু পেল এই সম্মেলন থেকে? যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় পর ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিলে চাঁদা কমিয়ে দেবেন। যা ইতিমধ্যে চিন্তায় ভাজ ফেলেছে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর মাঝে। জলবায়ু ইস্যুতে জাতিসংঘের আলোচনার অচলাবস্থা ভাঙতে পারলো কি এসব শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর নেতারা? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেল।


জলবায়ু পরিবর্তন একটি ধীর প্রক্রিয়া হলেও এর প্রভাব খুব মারাত্মক ও সুদূরপ্রসারী। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, খরা, দাবানল, বনভূমি সংকোচন, মেরু অঞ্চলের বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়া, কিংবা অনাবৃষ্টিজনিত কারণে বিস্তীর্ণ অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হওয়ার মতো সমস্যাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংগঠিত হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও