বানোয়াট মাথাপিছু জিডিপি তৈরির প্রতারণামূলক কায়দাকানুন

bonikbarta.com মো. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিশ্বের কাছে প্রশংসনীয় একটি বিষয় ছিল বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার। কিন্তু এমন উচ্চ মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দেখাতে অনেকগুলো প্রতারণামূলক কায়দাকানুন অনুসরণ করত সরকার, যা অর্থনীতির প্রকৃত গতিশীলতা ও সুস্বাস্থ্যের প্রতিফলন ছিল না। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করেছে যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত অর্থবছরের ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ৪ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। আগের পূর্বাভাসে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হওয়ার কথা বলেছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে প্রবৃদ্ধির হার হবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। অনেকে এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা খোঁজার চেষ্টা করছেন। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের ধ্বংসযজ্ঞ ও গত চার মাসের টালমাটাল পরিবর্তনগুলোর পর জিডিপি প্রবৃদ্ধি একেবারে ঋণাত্মক হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। তাই আমি মনে করি, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের নতুন এসব পূর্বাভাস অনেকটাই আশাপ্রদ বিধায় সমর্থনযোগ্য। বিগত শাসনামলে যেসব কায়দাকানুন অবলম্বন করে মাথাপিছু জিডিপি বাড়িয়ে দেখানো হতো সেগুলো বক্ষ্যমাণ কলামে আমি ব্যাখ্যা করছি।


তাত্ত্বিকভাবে জিডিপি হলো: (ভোগ ব্যয় + বিনিয়োগ ব্যয় + সরকারি ব্যয় + রফতানি আয় -আমদানি ব্যয়)। বিনিয়োগ ব্যয় দেশের সঞ্চিত পুঁজি থেকে হয়েছে নাকি বৈদেশিক ঋণের অর্থে হয়েছে সেটা এক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়, উভয় ক্ষেত্রেই জিডিপি বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য হয় না। তেমনিভাবে সরকারি ব্যয় সরকারি রাজস্বের অর্থায়নে হয়েছে নাকি দেশীয় অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক ঋণের অর্থায়নে হয়েছে সেটাও জিডিপিতে সরকারি ব্যয়ের অবদান নির্ধারণে তারতম্য সৃষ্টি করে না। শেখ হাসিনার সরকার সাড়ে পনেরো বছর ধরে যেনতেনভাবে অজস্র অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ করে বিনিয়োগ ব্যয় ও সরকারি ব্যয় বাড়ানোর নীতি বাস্তবায়ন করে দেশের জিডিপি কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর ব্যবস্থা করায় আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার প্রতি বছর উচ্চস্তরে দেখানো যাচ্ছিল, যা মোটেও টেকসই প্রবৃদ্ধি ছিল না। বৈদেশিক ঋণ নেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ব্যয় এক দশক ধরে জিডিপির অনুপাত হিসেবে ২৩-২৪ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু বিশেষত সরকারি খাতে অজস্র ঋণ করে ঘি খাওয়ার মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের অর্থ ব্যয় করায় জিডিপি বেড়ে গেছে। সরকারি রাজস্ব আহরণ এ দেশে কমতে কমতে জিডিপির ৮ শতাংশে নেমে যাওয়া সত্ত্বেও বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের অর্থে প্রতি বছর সরকারি ব্যয় বাড়ানোয় জিডিপি দ্রুত বেড়ে গেছে। ঋণ বাড়িয়ে সরকারি ব্যয় বাড়ালে তা জিডিপিকে বাড়িয়ে দেয়, সরকারি ঋণ বাড়লে জিডিপি কমে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও