![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo%252Fimport%252Fmedia%252F2019%252F01%252F29%252F096ee25086d213dbc435d12e5c1dc7ef-5c5039cdac51e.jpg%3Frect%3D114%252C0%252C1020%252C680%26auto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D0.9)
তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে নিচ্ছে ভাড়া
সর্বোচ্চ চাহিদার সময় মূলত তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হয়। কিন্তু ২৭ মাস ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই সরকারি নির্দেশনা মানছে না বেসরকারি খাতের ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। ফলে লোডশেডিং করতে হয়েছে সারা দেশে। এ জন্য কোনো জরিমানাও দিতে হচ্ছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে। উল্টো বিদ্যুৎকেন্দ্র অলস বসিয়ে রেখে ভাড়া নিচ্ছে।
চুক্তি অনুসারে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে ১০ শতাংশ সময় নিজেরা বন্ধ রাখতে (আউটেজ) পারে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার মানে ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বছরে ৮৩৬ ঘণ্টা (৩৬.৫ দিন) বন্ধ রাখতে পারে। এর বাইরে বন্ধ রাখার সময় কেন্দ্রভাড়া পাবে না; বরং জরিমানা দিতে হবে তাদের। কিন্তু আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হলেও এর হিসাব করছে না পিডিবি।
হিসাব করা হলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বছরে কেন্দ্রভাড়ায় ৪০ শতাংশ খরচ কমত বলে মনে করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া বিল জমতে থাকায় তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে অস্বীকৃতি জানাতে থাকে। তাদের দাবির মুখে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার সময় হিসাব না করেই ২০২২ সালের জুলাই থেকে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে পিডিবি। বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই পিডিবির বোর্ডে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে নেন তৎকালীন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। পরে সরকার বন্ড ছেড়ে বকেয়ার বেশির ভাগ শোধ করেছে। বর্তমানে বকেয়া অনেক কমে এসেছে। অথচ ওই নিয়মে এখনো সুবিধা পাচ্ছে বেসরকারি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো।