ছাত্রদের দাবিতে সরকারেরও সমর্থন আছে কি না, সে প্রশ্ন বিভিন্ন দলের নেতাদের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন নতুন দাবি হাজির করছে। তাদের প্রতিনিধিরা সরকারেও আছেন। তাই তাদের এসব দাবির প্রতি সরকারেরও সমর্থন আছে কি না, এই প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তাঁরা বলেছেন, কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে অর্জন বিসর্জনে পরিণত হতে পারে।
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৮০ দিন: গতিমুখ ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা এই আলোচনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংস্কারের জন্য ১০টি কমিশন করা হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন আসবে। কিন্তু কমিশনগুলোর কার্যকালীন আবার নতুন নতুন দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে। এই দাবির সঙ্গে সংস্কার কমিশন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সমর্থন বা সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা জানা নেই। এ জিনিসগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এ বিষয়গুলো সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে।
ঐকমত্যের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, কিছু বিষয়ে ঐকমত্য আছে। এর বাইরেও দাবি এসেছে, কোনো আলোচনা, কথাবার্তা ছাড়া। তাহলে ঐকমত্য কি সিলেক্টিভলি (বেছে বেছে) করা হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সিলেক্টিভলি ঐকমত্য করলে হবে না।