কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প?

ঢাকা পোষ্ট ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৪৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। অল্প কিছুদিন বাকি মাত্র। ইতিমধ্যে অনেকগুলো অঙ্গরাজ্যে ভোটাররা আগাম এবং ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন। দেড় কোটির বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বুথ ফেরত জরিপে উভয় প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।


শেষ সময়ে এসে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে লড়াই জমে উঠছে। ঘনঘন পরিবর্তন হচ্ছে জরিপের ফলাফল। মাসখানেক আগেও কমলা হ্যারিস প্রায় প্রতিটি জরিপে ট্রাম্পের তুলনায় ভালো অবস্থানে থাকলেও এই পর্যায়ে এসে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।


সাম্প্রতিক সময়গুলোয় মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ফলাফল মুখ্য হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে এবার যে ৭টি রাজ্যকে দোদুল্যমান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলোয় বিশেষ মনোযোগ দিতে হচ্ছে উভয় প্রার্থীকে।


এর বাইরে প্রতিবারের নির্বাচনে কিছু বৈশ্বিক ইস্যু থাকে, যা নির্বাচনের মাঠে প্রভাব ফেলে। এবার এ ধরনের ইস্যুর মধ্যে বিশ্বে চলমান দুটি বড় যুদ্ধ ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ইসরায়েল ও হামাস-হিজবুল্লাহর মধ্যকার সংঘাত অন্যতম আলোচিত ইস্যু।



সম্প্রতি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় প্রচারের পাশাপাশি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বৈশ্বিক এসব সংঘাত নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে। নির্বাচিত হলে এসব যুদ্ধ নিষ্পত্তির বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য ভোটারদের কাছে টানছে।


অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেপুটি হওয়ার কারণে বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা কমলা হ্যারিসকে বহন করতে হচ্ছে। সেদিক দিয়ে বিগত নির্বাচনে জো বাইডেন মার্কিন মুসলিম ভোটারদের যেভাবে নিজের পক্ষে টানতে পেরেছিলেন, এবার কমলার জন্য তা খুব কঠিন হবে বলে সাম্প্রতিক জরিপগুলোয় উঠে এসেছে।


তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকাকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হলেও মার্কিন ভোটারদের মধ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দিনশেষে এটা যে খুব একটা বড় বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।


বাইডেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা শক্তিগুলো একত্র করতে সক্ষম হয়েছেন এবং রুশ আধিপত্যকে খর্ব করতে এখন পর্যন্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কমলা হ্যারিস তার প্রশাসনে কাজ করছেন। সেই সূত্রে বলা যায় নির্বাচিত হলে তিনি বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতাকেই অক্ষুণ্ন রাখবেন।


এক্ষেত্রে অবশ্য বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নিয়ে মার্কিন সমাজে একধরনের অসন্তোষ বিরাজ করলেও ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার থেকে যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো এক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর পরিবর্তে তার দিক থেকে সুস্পষ্টভাবে কোনো বক্তব্য নেই। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে আগামী দিনে যে প্রশাসনই আসুক না কেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও