জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস: দুর্নীতি মুক্ত ক্যাম্পাস ও আইনের শাসন চাই

বাংলা ট্রিবিউন মো. আবুসালেহ সেকেন্দার প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫২

‘বিপ্লবে বলীয়ান নির্ভীক জবিয়ান’ শ্লোগানে ২০ অক্টোবর ২০২৪ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এদেশে। তবে অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ই এত অল্প সময়ে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ হিসেবে স্থান করে নিতে পারেনি। এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক; আর জীবনের নানা বাঁকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতার ডালা সাজিয়ে বসা খ্যাতিমান অধ্যাপকের পদভারে মুখরিত এই বিদ্যাপীঠ অল্পসময়েই ভর্তিচ্ছুকদের প্রথমদিকের পছন্দের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। তাই প্রতিবছরই এই বিদ্যাপীঠে মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।


গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার ফাঁদে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নানা জটিলতায় পড়লেও এখনও ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দ এই বিদ্যাপীঠ। জুলাই বিপ্লবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজস্ব শিক্ষক থেকে উপাচার্য নিযুক্ত লাভ করায় আগামী বছর থেকে আবারও স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষায় ফিরবে বলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আশা করে। গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এমসিকিউ পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষা চালু ছিল। পুনরায় ওই পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা হলে আবারও স্বমহিমায় ফিরবে এই বিদ্যাপীঠ। ভর্তিচ্ছুকদের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আকর্ষণ আরও বাড়বে। এবারের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত নতুন শিক্ষার্থীদের পদভারে এই বিদ্যাপীঠের ক্যাম্পাস মুখরিত হচ্ছে। কারণ এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ক্লাস প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন শুরু হচ্ছে। র‌্যাগিং রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর মনোভাবে ও বিপ্লব পরবর্তী শিক্ষার্থীদের সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার বাংলাদেশের র‌্যাগিংমুক্ত প্রথম ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার পথে এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে এমনটিই আমরা আশা করি।



জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এগিয়ে যাচ্ছে জ্যামিতিক হারে। এই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করেও স্নাতক সম্মান শেষেই চাকরির বাজারে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছে। বিসিএস পরীক্ষায়ও তাদের সাফল্যের হার ঈর্ষনীয়। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও পিছিয়ে নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়। চারুকলার কার্যক্রম চালু, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব এবং ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রগতিশীল দিবসগুলো উদযাপনের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে পুরনো ঢাকায় একটি সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে উঠেছে। যা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রগতিশীলতা চর্চার অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত করেছে। বর্তমান উপাচার্যের সময়েও ওই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশাবাদী হতে চাই।


দুই.
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শূন্য থেকেই পথ চলা শুরু করেনি। এর রয়েছে এক গৌরবজ্জল ইতিহাস। পাঠশালা থেকেই যার যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৮৬৮ সালে। বর্তমান জগন্নাথ ক্যাম্পাস যেখানে অবস্থিত সেই জায়গায় এই পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন বালিয়াটির জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরী। জগবাবুর পাঠশালাকে ১৮৮৪ সালে কলেজে উন্নীত করেন জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী। এবার ব্রিটিশ সরকারের নেক নজর পড়লো এই বিদ্যাপীঠের ওপর। ওই বছরই ব্রিটিশ সরকার এই বিদ্যাপীঠকে ‘ঢাকা জগন্নাথ কলেজ’ হিসেবে স্বীকৃত দেয়। অচিরেই ভারতে খ্যাতিমান বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে এই কলেজ নিজের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়। ১৮৮৭ সালে স্কুল ও কলেজ শাখাকে পৃথক করা হয়। তখন স্কুলের নাম হয় ‘কিশোরী লাল জুবিলী স্কুল’। শিক্ষাক্ষেত্রে ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে ১৯২০ সালে ইন্ডিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ‘জগন্নাথ কলেজ আইন’ পাস করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘর পুড়েছিল ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে। ১৯২১ সালে জগন্নাথ কলেজকে অবনমন করা হয় ভারতীয় লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে ‘জগন্নাথ কলেজ অ্যাক্ট’ পাস করে। এই আইনের ফলে এই বিদ্যাপীঠকে ‘জগন্নাথ ইন্টারমিডিয়েট কলেজ’ নামকরণ করে এর স্নাতক পর্যায়ে পাঠদানের ক্ষমতা রহিত করা হয়। ওই ঘটনার ২৮ বছর পর এর বন্ধ দুয়ার খুলেছিল। ১৯৪৯ সালে এই বিদ্যাপীঠে পুনরায় স্নাতক পর্যায়ে পাঠদান শুরু হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও