এসব অপরাধের বিচার হবে কি?

যুগান্তর ড. মাহবুব উল্লাহ প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৪

পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবরুদ্ধ দশা নতুন কোনো কাহিনি নয়। দেশটিতে জনগণ বিভিন্নভাবে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করে চলছে। পাকিস্তানে দৃশ্যত যখন ‘নির্বাচিত’ সরকার ক্ষমতায় থাকে, তখনো অদৃশ্য সামরিকতন্ত্র জারি থাকে। পাকিস্তানের এ সমস্যা নিয়ে এর এক সময়কার প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) নেতা নওয়াজ শরিফ ডিপ স্টেটের কথা বলেছিলেন।


অর্থাৎ রাষ্ট্রের গভীরেও একটি রাষ্ট্র রয়েছে, যে রাষ্ট্র নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ে, জোর-জবরদস্তি চালায় এবং ঘটনাচক্রে বিদ্যমান সরকারের পতন ঘটায় এবং ভিন্ন একটি সরকারকে ক্ষমতার কুরসিতে বসায়। পাকিস্তানে জেনারেল পারভেজ মোশাররফই ছিলেন সর্বশেষ প্রকাশ্য সামরিক শাসক। এরপর থেকে সামরিকতন্ত্র নানাভাবে হস্তক্ষেপ করে আসছে। ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করা থেকে শুরু করে বহু ধরনের গর্হিত কাজে এ সামরিকতন্ত্র জড়িত। কেউ কেউ মনে করেন, এভাবে দেশের রাজনীতির ওপর ডিপ স্টেট বা লুকায়িত সামরিকতন্ত্র হস্তক্ষেপ চালিয়ে যেতে থাকলে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। সাম্প্রতিককালে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে পাকিস্তানের ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য হেন অপকৌশল নেই, যা পাকিস্তানের ডিপ স্টেট অবলম্বন করেনি। ইমরান খানকে এবং তার দলের অনেক নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে কিছু মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে এবং কিছু মামলায় অভিযুক্তদের খালাস দেওয়া হয়েছে।


ইমরান খান এখনো বন্দি আছেন। তার স্ত্রীকেও অবৈধ বিয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই অভিযোগ ইমরান খানের বিরুদ্ধেও ছিল। আদালত থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনই এ অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন। কথা আছে, ইমরান খান যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বরিত হয়েছিলেন, তখনো এতে ডিপ স্টেটের খেলা জড়িত ছিল। ইমরান খান অনুক্তভাবে মার্কিনবিরোধী অবস্থান গ্রহণের ফলে মার্কিনিরা ডিপ স্টেটের ওপর প্রভাব খাটিয়ে ইমরান খানকে কৌশলে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে। ইমরান খান মার্কিনিদের এ হস্তক্ষেপ সম্পর্কে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন তথা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ইমরান খানকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য পাকিস্তানি জনগণ দীর্ঘসময় আন্দোলন করে আসছে। এসব আন্দোলনে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, কবে ইমরান খান কারামুক্ত হবেন। তার দলের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন অব্যাহত আছে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপ্লস পার্টি কোয়ালিশন সরকার এ নির্যাতনের দায় বয়ে বেড়াচ্ছে। এটা তাদের রাজনীতির জন্য শুভকর নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও