বিপ্লবী তারুণ্য যেন পথ না হারায়

যুগান্তর একেএম শাহনাওয়াজ প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৫

সফল গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এ দেশের কিশোর-তরুণদের নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। অন্যায়ের প্রতিবাদে ও দেশপ্রেমের শক্তিতে ওদের ভেতরের দ্রোহ মৃত্যুকেও পরোয়া না করতে শিখিয়েছে। এমন আত্মশক্তি যে তরুণ সমাজের, সে তারুণ্যকে রুখবে কে!


তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এ শক্তিকে জাগিয়ে রাখতে পারা। এ সত্য মানতে হবে, একটি বড় গণবিপ্লবের মাধ্যমে সরকার নামিয়ে ফেলা এক বিষয় আর নতুনভাবে রাষ্ট্রকে সংস্কার করে, প্রশাসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আনা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী সরকার পরিচালনা করা আরেক বিষয়।


আরেকটি ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে, একটি বড় বিপ্লব ঘটে গেলে বিপ্লবোত্তরকালে বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী কারও কারও মনে যে উত্তেজনা বিরাজ করে, একে যদি যৌক্তিকভাবে প্রশমিত করতে না পারা যায়, তবে বড় অনর্থ ঘটার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া আরেকটি সমস্যা হলো, বিপ্লবের সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট না থাকা পক্ষের কেউ কেউ এ বিপ্লবী তরুণদের আবেগকে ব্যবহার করে নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইতে পারে। ফলে সব ক্ষেত্রে লাগামটানার জন্য দায়িত্বশীলদের সতর্ক থাকতে হয়; কিন্তু দিন দিন এক্ষেত্রে হতাশার চিত্র দেখতে পাচ্ছি।



বাড়াবাড়ির ফল কী হয় তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পরপর স্বাধীন বাংলাদেশকে মহাসংকট অতিক্রম করতে হয়েছিল। অস্ত্র হাতে থাকা অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের উজ্জ্বল অবয়বে কালিমা লাগিয়ে ছিলেন। শত্রু নিধনে গুপ্তহত্যা শুরু করেছিলেন কেউ কেউ। লুটপাটের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন অনেকে। এমন সংকটের প্রতিক্রিয়ায় খান আতাউর রহমান নির্মাণ করেছিলেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’ চলচ্চিত্র।


সরকার পতনের পর থেকে বিপ্লবী তারুণ্য চাঁদাবাজ, ঘুসখোরদের বিরুদ্ধে তৎপর হয়েছিল। এসব তৎপরতাকে মানুষ সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু দিনে দিনে মনোযোগ অন্যদিকে চলে যাওয়ায় বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদলের নামে নানা জায়গায় চাঁদাবাজি-দখলদারির কথা পত্রিকার পাতায় ছাপা হচ্ছে। সেসব প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীদের সংঘ শক্তিকে আর তেমনভাবে দেখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের অনেককে অপমানজনকভাবে পদত্যাগ করানোয় মত্ত থাকা শিক্ষার্থীদের দেখে ওদের মহান বিপ্লবের সারথি রূপের সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে না। বিপ্লবী কিশোর-তরুণরা সাধারণ মানুষের মনে যে সম্ভ্রম ও স্নেহের জায়গা তৈরি করেছে, তাতে একটু একটু ফাটল ধরছে। এমন অবস্থা কাম্য হতে পারে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও