স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি : একটি রূপকল্প

যুগান্তর ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬

স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি বলতে আমরা বুঝি স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য গবেষণা এ তিনটির উন্নতি। উন্নয়ন, মূল্যায়ন, আধুনিকায়ন, মনিটরিং ও জবাবদিহিতা-এই পাঁচটি হলো স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতির চাবিকাঠি। ২৫ আগস্ট মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া তার ভাষণে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে যা বলেছেন তার সারসংক্ষেপ হলো : ১. বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত খাত। ২. জনগণের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। ৩. এ খাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। ৪. হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ৫. সেখানে সরকারি ডাক্তারসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে এবং ৬. স্বাস্থ্যসেবা যাতে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত না থেকে দেশের সব অঞ্চলের মানুষ সমান স্বাস্থ্যসেবা পায়, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।


আমি ৬ নং থেকে শুরু করছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন সমগ্র দেশে স্বাস্থ্যসেবার অভিন্ন বিতরণের কথা। এ অভিন্ন বিতরণের জন্য আমি একটি রূপকল্প (২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল) তুলে ধরতে চাই। সরকারি পর্যায়ে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামো-প্রথম : ইউনিয়ন পর্যায়ে-ইউনিয়ন সাব সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র। দ্বিতীয় : উপজেলা পর্যায়ে-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবার পরিকল্পনা)। তৃতীয় : জেলা পর্যায়ে-জেলা সদর হাসপাতাল। চতুর্থ : মেডিকেল কলেজ, ইনস্টিটিউট এবং মেডিকেল ইউনিভার্সিটি।



এবার দেখা যাক উপজেলা পর্যায়ে কীভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন করা যায়। ১. প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিকায়ন প্রয়োজন। ২. তিন থেকে পাঁচটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে একটিকে আদর্শ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রূপান্তর করা প্রয়োজন।


আদর্শ কমপ্লেক্সের রূপরেখা


কমপ্লেক্সের পরিসর বৃদ্ধিকরণ : আদর্শ কমপ্লেক্সগুলোকে ২৫০ বেডের হাসপাতালে পরিণত করতে হবে। ওই হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার, নার্সিং স্টাফ এবং অধস্তন কর্মচারীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। লজিস্টিক জনশক্তি দিতে হবে (প্যাথলজি, রেডিওলজি ও সনোলজি জনশক্তি)।


ডায়াগনস্টিক (ইনভেসটিগেশন) ফ্যাসিলিটি বাড়াতে হবে।


উপযুক্ত অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ রুম এবং সিসিইউ থাকতে হবে। চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও স্টাফদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দেওয়ার জন্য কমপক্ষে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকতে হবে।


বিশেষায়িত চিকিৎসাব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষায়িত চিকিৎসাব্যবস্থার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ, গাইনি বিশেষজ্ঞ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ জেনারেল সার্জন, বিশেষজ্ঞ অর্থোপেডিক সার্জন, চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ, চক্ষু বিশেষজ্ঞ, নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ।


অপারেশনের জন্য যা যা দরকার, সেভাবে কমপ্লেক্সটিকে সাজাতে হবে। যেমন-অপারেশন থিয়েটার, পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড, প্রয়োজনীয় এনেসথেটিস্টস, প্রয়োজনীয় মেডিকেল অফিসার, এক্সপার্ট নার্সিং স্টাফ এবং অন্যান্য জনশক্তি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও