জনগণের আস্থা ফেরাতে যা করতে হবে সংবাদমাধ্যমের
তিন প্রজন্মের তিনটি গল্প দিয়ে শুরু করতে চাই লেখাটি। প্রথমটি আজ থেকে প্রায় ১৭ বছর আগের। ২০০৬ সালের দিককার। আমার গ্রামের বাড়ির এলাকা তথা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাটে পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্রিক আন্দোলন নিয়ে দেশের রাজনীতি ও গণমাধ্যম বেশ উত্তাল।
বাবা তখন বেঁচে ছিলেন। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। এই আন্দোলোনের অনেককিছু তিনি নিজ কানে শুনতেন ও চোখেও দেখতেন। পরদিন পত্রিকায় ও টেলিভিশন খবর দেখে তার দেখা ও শোনাকে মিলিয়ে নিতেন। দৈনিক পত্রিকা পড়া অভ্যাস তার দীর্ঘ দিনের। তো একদিন বাড়ির বারান্দায় বাবা-ছেলে একটি পত্রিকা ভাগ করে পড়ছি। হঠাৎ কোনো একটি খবরের বিষয় নিয়ে তার খটকা লাগে। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার রাজনৈতিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট থেকে বিশ্লেষণ করে তাকে বিষয়টি যতটা সম্ভব সহজভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি। তিনি আমার কথা বিশ্বাস করেননি। এনিয়ে তার সঙ্গে আমার খানিকটা বিতর্কও হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বলেন, “খবরের কাগজে বেরিয়েছে। পত্রিকাওয়ালারা কখনও মিথ্যা খবর ছাপাতে পারে না। পক্ষপাতমূলক কিংবা বেঠিক সংবাদ ছাপানো অসম্ভব।” সেদিন বাবার সঙ্গে আমি আর কথা বাড়াইনি। কারণ পত্রিকার খবরকে তিনি বিশ্বাস করতেন একদম ধ্রুব সত্যের মতো।