কেমন হবে আগামীর বাংলাদেশ?

জাগো নিউজ ২৪ ড. মতিউর রহমান প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৩

বিপ্লব বলতে বোঝায় কোনো একটি ব্যবস্থা, সমাজ, বা রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি ও গঠনকে মূলত সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে পরিবর্তন করে ফেলা। এটি সাধারণত জনগণের অসন্তোষ, বিদ্রোহ এবং প্রতিবাদের ফসল। বিপ্লবের ফলে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। ইতিহাসে আমরা দেখেছি বিপ্লবের ফলে নতুন শাসন ব্যবস্থা, নতুন আদর্শ এবং নতুন সমাজ গঠিত হয়েছে।


২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, তা নির্ধারণে বিভিন্ন বিষয় এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা জরুরি। এই বিপ্লব দেশটির রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, এই পরিবর্তনের ধারা এবং গতি নির্ভর করবে বিপ্লবের প্রকৃতি, নেতৃত্ব, এবং দেশের সাধারণ জনগণের ভূমিকার ওপর।



ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের অসন্তোষ এবং ছাত্রদের সক্রিয়তা নতুন ধরনের নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। এই বিপ্লবের ফলে, বর্তমান রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তিত হতে পারে এবং নতুন রাজনৈতিক দল বা আন্দোলনের উদ্ভব হতে পারে যারা গণতান্ত্রিক মানদণ্ডে আরও বেশি বিশ্বাসী। একই সাথে, একটি শক্তিশালী সুশীল সমাজ এবং স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া গড়ে তোলার জন্য জনগণের চাহিদা বাড়তে পারে।


অর্থনৈতিক দিক থেকে, এই বিপ্লব একটি নতুন অর্থনৈতিক নীতির সূচনা করতে পারে যা দেশের জনগণের আর্থিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করবে। শিক্ষিত যুবকদের নেতৃত্বে প্রযুক্তি-নির্ভর নতুন উদ্যোগ এবং স্টার্টআপ সংস্কৃতির উত্থান হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, একটি প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পরিবেশের বিকাশ হতে পারে যেখানে ক্ষুদ্র উদ্যোগ থেকে বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান সবক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। তবে, এটি নির্ভর করবে সরকারের অর্থনৈতিক নীতি এবং কৌশলের ওপর, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিকে পুনর্গঠিত করতে সহায়ক হবে।



বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফলে রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে যে পরিবর্তন আসবে, তা ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে।


বিপ্লবের পর নতুন সরকার ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে (SMEs) উৎসাহিত করবে। কর কাঠামো এবং অন্যান্য নীতিমালায় সংশোধন এনে ব্যবসার পরিবেশকে আরও সহজতর ও প্রণোদনামূলক করা হতে পারে। একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন, উন্নত সড়ক, বিদ্যুৎ, এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করা হতে পারে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।


ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফলে দেশের যুবসমাজে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুন উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবসার বিকাশ ঘটতে পারে, বিশেষ করে ই-কমার্স, ফিনটেক, এবং আইটি খাতে। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ এবং প্রারম্ভিক মূলধনের ব্যবস্থা করা হতে পারে, যা দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতির বিকাশকে ত্বরান্বিত করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও