বিচারহীনতার দেশে বিচারের সংস্কৃতি কি চালু হবে নতুন সূর্যোদয়ে

প্রথম আলো এন এন তরুণ প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১৪:০৫

জগদ্দল পাথরের মতোই বাংলাদেশের বুক থেকে অবশেষে নেমে গেল প্রায় ১৪ বছরের গণতন্ত্রহীনতা। ইচ্ছেমতো ভোট দিয়ে নিজের প্রতিনিধি নির্বাচন করার মানুষের মৌলিক অধিকার পুরোপুরি কেড়ে নিয়েছিল হাসিনা সরকার।


কথা বলার, লেখার ও পছন্দমতো কাজ করার স্বাধীনতাও ছিল সীমিত। মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষোভ আগ্নেয়গিরির লাভার চেয়েও ভয়ংকর, যা যেকোনো সময় বিস্ফোরণের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তারপর সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকায় আওয়ামী নেতা ও মন্ত্রী-আমলাদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, আর অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সীমিত আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেশের প্রত্যেক মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। ক্ষুব্ধ করেছে অসংখ্য আওয়ামী লীগপন্থী বা আওয়ামী-সমর্থককেও। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এই বিস্ফোরণই ঘটল। আদতে এমনটা হওয়ারই কথা ছিল। শুধু দিন-তারিখ আমাদের জানা ছিল না।


ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাঁদের জায়গা খুঁজে পেয়েছেন। ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলন আর জনতার ক্ষোভ এক স্রোতে মিশে গেছে। আর এ জন্যই রাজপথে এত মানুষ এবং আন্দোলনের এত তীব্রতা। ফলে যা হওয়ার তা-ই হলো। অবসান হলো স্বেচ্ছাচারিতার। ধুলায় মিশে গেল দাম্ভিকতা। বিদায় নিতে হলো স্বৈরাচারকে। ভেঙে পড়ল সিংহাসন, ভেঙে পড়ল সবকিছু।



শেখ হাসিনার পদত্যাগেই পরিসমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল আন্দোলনের। রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল হাসিমুখে। কিন্তু তা হলো না। ব্যাপক ভাঙচুর আর ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠল ছাত্র-জনতার একটি বিরাট অংশ। গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, আওয়ামী লীগপন্থীদের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া হাউস ইত্যাদি স্থানে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটতরাজ করেন ছাত্র-জনতা।


এ ঘটনা শুধু ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ব্যাখ্যা করলে ভুল হবে, এর মধ্যে আছে জিঘাংসা ও লোভ। ভাঙচুরে ও লুটতরাজে লিপ্ত যারা, তাদের কাছে নীতির পরিবর্তন বা সরকার পরিবর্তন মুখ্য নয়। তাদের কাছে মুখ্য হলো স্বীয় স্বার্থ এবং সুযোগ পেলে, ক্ষমতা পেলে ঠিক হাসিনা সরকারের মতোই আচরণ করবে তারা, লিপ্ত হবে ঘুষ-দুর্নীতিতে।


শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের প্রতি ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক এবং অফিস-আদালত ও বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার ছবি বা প্রতিকৃতি সরিয়ে ফেলার ঘটনাও স্বাভাবিক, কিন্তু সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বা প্রতিকৃতি চরম অবমাননা ও উল্লাসভরে ভেঙে ফেলার অর্থ হলো স্বাধীনতার প্রতীকের প্রতি অবমাননা। স্বাধীনতার প্রতীকের প্রতি অবমাননা এক ভয়ংকর প্রবণতার সাক্ষ্য দেয়। দ্বিতীয়ত, ভাঙচুর ও লুটতরাজে বিপুলসংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ এক গভীর দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ, স্বাধীনতার দীর্ঘকাল পরও এত বিপুলসংখ্যক মানুষ স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি হয়ে রয়ে যাওয়া মূলত স্বাধীনতার ব্যর্থতারই ঘোষণা করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও