আরব বসন্ত আমাদের কী শেখায়?

ঢাকা পোষ্ট ইমতিয়াজ মাহমুদ প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১১:১৬

বর্ষায় আপনার নগরের জমে থাকা জলের স্রোত যখন গিয়ে নদীতে পড়ে, সেই স্রোতে কেবল শুদ্ধ বৃষ্টির জলই থাকে না—সেখানে মিশে থাকে নাগরিকদের শৌচালয় থেকে নির্গত নোংরা জল, রাজপথের ধারে জমে থাকা নাগরিকদের মলমূত্র, মৃত পশুপাখির শব, সাথে আরও নানাপ্রকার বর্জ্য। সেই স্রোতধারা গিয়ে নদীতে মেশে, নদী জলের ভারে ভরে ওঠে, নদীর স্রোত বদলে যায়, নদী অর্জন করে চারিদিক প্লাবিত করার শক্তি।


নদীর জল কি তাতে দূষিত হয়? নিশ্চয়ই হয়—কখনো কম, কখনো বেশি। কিন্তু নগর যখন নোংরা করে রাখবেন তখন প্রতি শ্রাবণে প্রতি বর্ষণে নগর থেকে গিয়ে নদীতে মেশা জলের ধারা নদীর জল দূষিত করবেই। এই শ্রাবণে আমাদের দেশে একটা আন্দোলন শুরু হয়েছে, আন্দোলনে মানুষের স্রোত প্রবল হয়েছে কিন্তু এই স্রোতের ধারা আর কেবল চাকরিতে নিয়োগের শর্ত সংক্রান্ত একটি স্বার্থবাদী আন্দোলনে সীমিত থাকেনি। তবে কি নানা মানুষের মিশেল হওয়া এই আন্দোলন একদিন প্লাবিত করবে সম্পূর্ণ রাষ্ট্র? ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেবে এতদিন ধরে শিকড় গেঁড়ে বসে থাকা জগদ্দল?


পৃথিবীজুড়ে খুব কম রাজনীতিবিদই খুঁজে পাওয়া যায় রাষ্ট্রীয় জীবনে মানুষের অধিকারের গুরুত্ব সম্পূর্ণ অনুধাবন করতে পেরেছে। মানুষের অধিকার মানে কী? স্বাধীনতা। কথা বলার স্বাধীনতা বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা—যে স্বাধীনতা রাষ্ট্র বা সমাজ চাইলেই খর্ব করতে পারে না।


কথা বলার স্বাধীনতার অর্থ কেবল কথা বলার স্বাধীনতাই নয়—এর সাথে অন্তর্ভুক্ত হয় রাষ্ট্রীয় জীবনে সব স্তরে মতামত দিয়ে নাগরিকদের অংশগ্রহণের অধিকার। সেই অর্থে ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা বা অর্থপূর্ণ ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা সেও বাকস্বাধীনতারই অংশ হয় বটে। সেই সাথে মানুষের সৃজনশীল ও দার্শনিক মতামত প্রকাশ প্রচলিত জ্ঞান, প্রথা-প্রতিষ্ঠান, বিশ্বাস ও চিন্তাকে নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের অধিকার সে তো আছেই।


রাষ্ট্রনায়কদের অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, অতীতেও দেখা গেছে, উঁচু উঁচু ইমারত সড়ক ইত্যাদি নির্মাণ ও নাগরিকদের বৈষয়িক আরাম আয়েশ নিশ্চিত করার মধ্যেই সার্থকতা বা সাফল্য দেখতে পায় আর সেটা করতে গিয়ে মানুষের অধিকার সঙ্কুচিত করে ফেলে। এইসব করতে গিয়ে কী হয়? মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যখন খর্ব হয় তখন মানুষ কথা বলার ধরন পাল্টে ফেলে এবং নতুন ধরনটা হয় অনেক সময় একেকটা টর্নেডোর মতো বিস্ফোরণ রূপে।  


মানুষের অসন্তোষ খুব দীর্ঘ সময় চেপে রাখা যায় না। আর যদি গায়ের জোরে কেউ চেপে রাখতেও চায়, জমে যাওয়া সেইসব ছোট ছোট অসন্তোষ জমে জমে একসময় বিস্ফোরিত হয়। জমে থাকা অসন্তোষ হয় স্তূপীকৃত বারুদের মতো—সামান্য স্ফুলিঙ্গেই বিশাল অগ্নোৎপাত ঘটাতে পারে। আর জমে যাওয়া অসন্তোষের পরিমাণ যত বেশি হয়, বিস্ফোরণের তীব্রতাও তত বেশি, বহিঃপ্রকাশ আরও তীব্র হয়। কিন্তু অসন্তোষ যত বেশিই জমা হোক না কেন, বিস্ফোরণের জন্যে কিন্তু ক্ষুদ্র একটা স্পার্কই যথেষ্ট।


ইতিহাসের পথে খুব পেছনে যাওয়ার দরকার নেই, এই শতকেই আমাদের একরকম চোখের সামনেই এইরকম এক বিস্ফোরণ আমরা দেখেছি বিশাল অঞ্চল জুড়ে—আরব বসন্ত। সে এক প্রবল জনস্রোত তোলপাড় করে ফেলেছিল আরব বিশ্বের এ মাথা থেকে ঐ মাথা। প্রবল প্রতাপের জন্য যেসব শাসককে আমরা চিনতাম যুগ যুগ ধরে, ওদের প্রায় ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দিয়েছিল অতি সাধারণ সব ছেলেবুড়োর সেই মিলিত জনস্রোত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও