অনিশ্চয়তার প্রভাব এড়ানো যাবে কি
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাসেই সৃষ্ট এ পরিস্থিতি অর্থনীতির বিভিন্ন দিকে প্রভাব ফেলেছে দ্রুত। এটা এড়ানো সম্ভব ছিল কি না, তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তবে অর্থনীতিতে এর প্রভাব এড়ানো স্বভাবতই সম্ভব হয়নি। প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকে এর প্রভাব পড়েছে ইতিমধ্যে। তবে এই নিবন্ধে দেশীয় পণ্যবাজারে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা কেন্দ্রীভূত রাখতে চাইব। এর কারণটাও ব্যাখ্যা করব শুরুতেই।
আমাদের অর্থনীতি নানান চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। সিংহভাগ সূচক নিম্নগামী। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা সবচেয়ে পীড়াদায়ক। এর রয়েছে প্রত্যক্ষ অভিঘাত, বিশেষত নিম্ন ও সীমিত আয়ের সিংহভাগ মানুষের জীবনে। জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের সময় তো বটেই; নতুন বাজেটেও মূল্যস্ফীতি সহনীয় করে আনার কথাই সবচেয়ে বেশি করে বলা হয়েছে। এর কারণ, কমবেশি দুই বছর ধরে মানুষকে একটা উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ সইতে হচ্ছে। গেল অর্থবছরে সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ ছুঁই-ছুঁই। মতান্তরে এটা আরও অনেক বেশি। গেল অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য মোটেও অর্জিত হয়নি। এ অবস্থায় নতুন অর্থবছরে এটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে কি? প্রশ্নটা ছিলই; তবে কোটা আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এটা তীব্রতর হয়েছে। কেননা শুধু পণ্য নয়; সেবার বাজারেও পড়েছে এর সরাসরি প্রভাব।