শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস হলো কেন?

ঢাকা পোষ্ট প্রণব কুমার পাণ্ডে প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের জনগণ বেশকয়েকদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে পার করেছে। যদিও সরকার ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে সব কোটা বাতিল করে দেয়, তবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দায়ের করা একটি মামলার রায়ে ৫ জুন মাননীয় হাইকোর্ট সেই প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে কোটা পুনর্বহাল করার আদেশ দেন।


তারপর থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে দেশের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন ছিল অহিংস আন্দোলন।


শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৫ জুলাই ২০২৪ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে, ১৬ জুলাই ২০২৪ আন্দোলনটি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় যখন শিক্ষার্থীরা দেশ জুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছিল।


রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত তৃতীয় শক্তি ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে এবং সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে, আইন প্রয়োগকারী বাহিনী শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। অকালে ঝরে গেল বেশ কিছু প্রাণ। এই সংঘর্ষে আমরা অনেক তরুণকে হারিয়েছি, যার ফলে তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


অন্যদিকে, শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যসহ আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যরা নিহত হয়েছে। এই রক্তপাত কোনো মূল্যে প্রত্যাশিত ছিল না। ফলে, বাংলাদেশের জনগণ এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে।


এখানে বলে রাখা ভালো যে, উচ্চ আদালতের রায়ের পরেই অতি অল্প সময়ের মাধ্যমেই সেই রায় বাতিল চেয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছিল যার অর্থ সরকারের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছিল।


ইতিমধ্যেই, সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বের বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্ট্যাটাস কো (মানে হলো স্থিতাবস্থা) জারি করে ৪ সপ্তাহ পরে শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়। পরিস্থিতিতে খারাপ হতে থাকলে সরকারের তরফ থেকে আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।


একদিকে যেমন আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয় ঠিক তেমনিভাবে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের নেতৃত্বের বেঞ্চে শুনানির দিন এগিয়ে নিয়ে আসার আবেদন করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও