প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের হিড়িক, থাকছেন ‘আস্থাভাজনরা’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ছয় মাসে অন্তত অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন, যা গত বছরের দ্বিগুণেরও বেশি। সরকারের ‘আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিতরাই এক্ষেত্রে এগিয়ে। প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ারই অংশ। তবে এ ধরনের নিয়োগ প্রশাসনকে দুর্বল করে দেয় বলে দাবি জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞদের।
সাবেক আমলা ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার যেহেতু আবার ক্ষমতায় এসেছে, কৃতজ্ঞতা হিসেবে আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের চুক্তিতে নিয়োগ দিচ্ছে। এ কারণে ভোটের পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আরও বেড়েছে। এতে নিচের পদের কর্মকর্তারা ন্যায্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা তাদের মাধ্যমে অসন্তোষ ও হতাশা সৃষ্টি করছে।
কোনো কোনো কর্মকর্তার চুক্তির মেয়াদ একাধিকবার বাড়ানোয় অসন্তোষ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। তারা বলছেন, চুক্তি এমনিতেই শৃঙ্খলা নষ্ট করে, পদোন্নতির পথ রোধ করে। এর ওপর বারবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ালে সংকট তীব্র হয়। অনেকে নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও সততা দিয়ে কর্মজীবন উজ্জ্বল রাখলেও শেষে নিজেকে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় না দেখে একরাশ হতাশা নিয়ে অবসরে যান।