এক ছাগলে উন্মোচিত অনেক ছাগলের মুখোশ
কথায় বলে ‘পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।’ ছাগলের প্রিয় খাবার কাঁঠাল পাতা, সে আমরা জানি। তবে ছাগল আসলে সর্বভুক। সবকিছুতেই মুখ দেয়। কিন্তু একটা কতকিছু খেতে পারে, তার প্রমাণ এখন দেশবাসীর সামনে। নিরীহ একটা ছাগল উন্মোচিত করে দিয়েছে অনেক ছাগলের মুখোশ। বাংলাদেশে দুর্নীতি, প্রতারণা, দেখনদারির বহুমাত্রিক স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে এক ছাগলকাণ্ডে। পবিত্র ঈদুল আজহায় যে ছাগলের কোরবানি হওয়ার কথা ছিল, সেই ছাগল এখনও বহাল তবিয়তেই আছে; তবে কোরবানি হয়ে গেছেন আরো অনেকে।
প্রথম কথা হলো, কোরবানি করা হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহর জন্য নিজের প্রিয় জিনিস উৎসর্গ করা। এখানে দেখনদারীর কোনো ব্যাপার নেই। আপনি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন, এখানে পশু বড় না ছোট, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। এক গরুতে সাতজন পর্যন্ত কোরবানি দিতে পারেন। এখন কেউ বলতে পারেন, যার সামর্থ্য আছে, তিনি তো চাইলে দামি পশু কোরবানি দিতে পারবেন। অবশ্যই পারবেন। কিন্তু আসল কথা হলো, দামি পশু কেনার টাকাটা তো সৎ পথে উপার্জিত হতে হবে।
এই কলামে লিখেছিলাম ‘চুরি করা গরুতে কোরবানি হয় না’। ব্যাপারটা এমনও নয় আপনি বেতনের টাকায় কোরবানি দিলেন, আর ঘুসের টাকায় আয়েশ করলেন। এক মণ দুধ নষ্ট করার জন্য যেমন এক ফোঁটা চনাই যথেষ্ট, তেমনি দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত এক টাকা আপনার কোটি টাকাকেও নষ্ট করে দেবে। তাই একজন দুর্নীতিবাজের কোরবানি কখনোই কবুল হবে না।