সবাই কেন জানতে চায়, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে তো?

প্রথম আলো এ কে এম জাকারিয়া প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৩

নির্বাচনের একটি নির্দিষ্ট সময় ঘোষণার পর অনেকেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিলেন। ‘ফেলেছিলেন’ বলছি; কারণ, ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে নির্বাচনের মাস ঘোষণার সপ্তাহ তিনেক না যেতেই সেই ‘স্বস্তি’ অনেকটাই হারিয়ে গেছে। বিষয়টি এমন নয় যে নির্বাচনের ঘোষিত সময়সীমা থেকে সরকার বা প্রধান উপদেষ্টা সরে এসেছেন।


প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সূত্রে এখন পর্যন্ত এটা আমাদের জানা যে নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ভাগে আর তফসিল হবে এ বছরের ডিসেম্বরে। প্রশ্ন হচ্ছে, এরপরও নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে এত সংশয় কেন? সবাই কেন এটা জানতে চায়, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে তো?


প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে মাত্রাগত পার্থক্য ছিল স্পষ্ট। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রতিক্রিয়া ছিল এ রকম, ‘এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে যাবে, গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।’


নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে বিএনপির এ উচ্ছ্বাস অন্য দলগুলোর মধ্যে দেখা যায়নি। জামায়াত ‘যদি’, ‘কিন্তু’সহ নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিল। তারা জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন, সনদের আইনি ভিত্তি এবং তা সংবিধানে যুক্ত করার কথা বলেছে। এনসিপির নেতাদের প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ শীতল। তারা বলেছে, শুধু একটি নির্বাচনের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। নির্বাচনের আগে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং সংস্কার ও বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিতের দাবি তোলে তারা। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিও রয়েছে তাদের।


ইসলামী আন্দোলনের অবস্থান ছিল আরেকটু নেতিবাচক। তারা বলেছিল, দেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। তাদের পক্ষে নির্বাচনে যাওয়া কঠিন বলেও তখন মন্তব্য করেছিলেন দলটির আমির। সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি থেকে যে তারা সরছে না, সেটাও তখন তারা পরিষ্কার করে দিয়েছিল।


রাজনৈতিক দলগুলোর এসব প্রতিক্রিয়ায় তখনই বোঝা গিয়েছিল যে আরও কিছু কার্ড তারা হাতে রেখে দিয়েছে। এখন নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, দলগুলো নিজেদের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী সেই কার্ডগুলো খেলা শুরু করেছে। সমস্যা হচ্ছে, যেভাবে এবং যে কার্ডগুলো ছাড়া হচ্ছে, তাতে ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ বেড়ে চলেছে।


২.


এনসিপি নেতাদের এখনকার বক্তব্য এমন মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে তাঁরা ঘোষিত সময়ে নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। দলটির এক নেতা তো পরিষ্কার বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।’


এটা এনসিপির বক্তব্য বা অবস্থান না হলে দল থেকে অন্তত ব্যাখ্যা পাওয়া যেত। তেমন কিছু আমরা পাইনি। ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়’ বা ‘নতুন সংবিধানের অধীনে নির্বাচন’—এমন দাবি তোলার অর্থই হচ্ছে ফেব্রুয়ারি ’২৬–এর নির্বাচনকে না বলা। রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির জনসমর্থন বা জনভিত্তি কতটা জোরালো, সে পরীক্ষা হয়নি, কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের এই নতুন দলটির রাজনৈতিক গুরুত্বকে উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই।


এনসিপির নির্বাচনবিরোধী অবস্থানকেও তাই হালকাভাবে নেওয়া যাচ্ছে না। তবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত, বিএনপিকে চাপে রাখা বা আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে কোনো দলের কাছ থেকে বাড়তি আসন আদায়ের কৌশল হিসেবে দলটি এসব দাবি তুললে অবশ্য ভিন্ন কথা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও