পারিবারিক বন্ধন ও সম্পর্ক

ঢাকা পোষ্ট ফারহানা মান্নান প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:২১

আমরা যখন দিনশেষে বাড়ি ফিরি তখন পরিবারের বুকে মাথা রেখেই দিনের সব ক্লান্তি ভুলে যাই, না পাওয়া বা কষ্টে পাওয়া বা হারানো সবকিছুর দীর্ঘশ্বাস ফেলি। কোনো সমাধান নয় বরং আস্থার কিছু বাণী পরদিনের জটিল জীবিকায় ফিরতে সহযোগী হয়ে পাশে দাঁড়ায়। আমরা অনেকেই এই সত্য অনুধাবন করি ঠিক, কিন্তু কতজন যথার্থ মূল্যায়ন করি?


পারিবারিক সম্পর্কের পাশাপাশি সমাজে বিদ্যমান নানা রকমের সম্পর্কগুলো নিয়ে আমরা এখন কোন অবস্থানে আছি? আমরা কে, কতটা মানুষের মতো আচরণ করছি বা পাচ্ছি? সামাজিক সম্পর্কের গুরুত্ব ও বন্ধন দুর্বল হওয়ার জায়গায় আমরা নানা প্রশ্ন করতে পারি। প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে পারি। এগুলো সরাসরি সমাধানের পথ দেখিয়ে না দিলেও চিন্তার জায়গায় কিছু আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। কাজেই ভাবতে পারি এই পাঁচটি প্রশ্ন নিয়ে।


আধুনিক সমাজে কি সামাজিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়ছে?


সামাজিক বন্ধন নিয়ে যদি ভাবি তাহলে বলা যায়, সামাজিক বন্ধন বলতে ব্যক্তি, গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগকে বোঝায় যা একে অপরের মধ্যকার আস্থা, সহযোগিতা ও  সামাজিক মূল্যবোধকে উৎসাহিত করে। যদি অন্যভাবে চিন্তা করি, সামাজিক বন্ধন মানুষের সাথে মানুষের মধ্যকার বন্ধুত্ব, বিশ্বাস ও সহযোগিতার গল্প বলে। আধুনিক সমাজে দ্রুত নগরায়ন, ডিজিটালাইজেশন এবং বৈশ্বিকীকরণ এই বন্ধনগুলোর প্রকৃতি এবং দৃঢ়তা পরিবর্তন করছে।


পরিবর্তন ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইভাবেই হচ্ছে। প্রথমে নগরায়ন নিয়ে চিন্তা করি। ১৯৯৭ সালের একটি গবেষণায় স্যামসন এবং তার সাথে গবেষণায় যুক্ত সহকর্মীরা দেখিয়েছেন যে, দৃঢ সামাজিক বন্ধন অপরাধ এবং সহিংসতা কমাতে সাহায্য করে, যেখানে দ্রুত নগরায়ন প্রতিবেশী সম্পর্ককে দুর্বল করে। দুর্বল সামাজিক অংশগ্রহণ একাকীত্ব বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কযুক্ত। দৃঢ় সামাজিক বন্ধন উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং একাকীত্বের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে।


২০২৫ সালে, গ্লোবাল সোশ্যাল ট্রেন্ড কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায় ২০১৫ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শারীরিক সামাজিক মেলামেশার সময় প্রায় ১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যদিও অনলাইন সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংযোগের সংখ্যা বাড়ায়, কিন্তু প্রায়ই গভীরতা এবং আবেগগত অন্তর্ভুক্তি কমিয়ে দেয়। ২০০৩ সালে নোরিস উল্লেখ করেছেন যে, বৈশ্বিক সামাজিক বন্ধন সহিষ্ণুতা ও নাগরিক অংশগ্রহণকে সমর্থন করতে পারে, কিন্তু এটি স্থানীয় সামাজিক বন্ধনকে চ্যালেঞ্জও করতে পারে।


এক কথায় আধুনিক সমাজে তা বেড়েছে না কমেছে তা বলা যাচ্ছে কি? তবে সামাজিক বন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যাল্যান্সের অভাব স্পষ্ট! সমস্যা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি। সাদা চোখে দৃঢ় সামাজিক বন্ধনের অভাব মানবিক আচরণের ক্ষেত্রে কি বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না? শৈশবে বাবা-মা, শিক্ষক ও বন্ধুদের সাথে সামাজিক বন্ধন কীভাবে নৈতিক বিকাশকে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখে?


শৈশবে বাবা-মায়ের সাথে চমৎকার সহানুভূতিশীল সম্পর্ক শিশুদের নৈতিক জ্ঞানের ভিত্তি মজবুত করে। ২০০২ সালে কোনান্সকা মন্তব্য করেন, যেসব শিশুদের সঙ্গে বাবা-মা দৃঢ় সম্পর্ক ও যোগাযোগ রাখেন তারা সহানুভূতিশীল, সৎ এবং নিয়ম মেনে চলতে আগ্রহী হয় পরবর্তী জীবনে।


১৯৯১ সালের একটি গবেষণায় ওয়েন্টজেল উল্লেখ করেছেন, শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং ন্যায্য আচরণ করেন, সেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিষ্ঠা, সহযোগিতা এবং নৈতিক আচরণের প্রবণতা বেশি থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও