কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিপিসির লাভ-লোকসান ও ভোক্তার দায়

www.ajkerpatrika.com অরুণ কর্মকার প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৪, ১৫:২৯

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বোধকরি দেশের বৃহত্তম সেক্টর করপোরেশন। আয়-ব্যয়, স্থিতি কিংবা কার্যপরিধি সব বিবেচনায়ই বৃহত্তম। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণও বটে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশের স্বচ্ছতা ও যথার্থতা সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছিল। এখনো আছে। কখনো কখনো সেই চিহ্নটি একেবারে নিরেট প্রমাণসহও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তার অবসান হয়নি; বরং বিপিসির লাভ-লোকসান আর রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির বিষয়গুলো একটি জটিল ধাঁধা হয়েই আছে।


বিষয়গুলো অনুধাবনের সুবিধার জন্য একটু পেছনের ক্রমানুসারে উল্লেখ করা বোধ হয় ভালো হবে। ২০২২ সালের আগস্টে বিপিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির আয়-ব্যয় প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছিলেন, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত (সাত বছরে) বিপিসি সর্বমোট ৪২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২’-এ উল্লিখিত ছিল (এখনো নিশ্চয়ই আছে), ওই সাত বছরে বিপিসি প্রকৃত মুনাফা করেছে ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিপিসির তৎকালীন চেয়ারম্যানের দেওয়া তথ্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্যের মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে ৩ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা।


রাষ্ট্রীয় খাতের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির হিসাব-নিকাশের এই গুরুতর গরমিল ওই সময় গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এই গরমিল কীভাবে হলো, এটি কি কারও ভুল নাকি এর অন্য কোনো ব্যাখ্যা আছে, সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে আজ পর্যন্ত কেউ কোনো কথা বলেনি। সুতরাং কীভাবে বিষয়টির ফয়সালা হলো, আদৌ কোনো ফয়সালা হলো কি না, তার কিছুই দেশবাসী জানতে পারল না। ফলে সেই ধারা এখনো বলবৎ রয়েছে। হিসাব কিছুতেই মিলছে না। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, বিপিসির হিসাবের গরমিলটি হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবের সঙ্গে।


যেমন চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) কথাই ধরা যাক। এই অর্থবছরে বিপিসির লোকসানের প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১০ হাজার ১৯ কোটি টাকা। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, অর্থবছর শেষে বিপিসির নিট মুনাফা হবে ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। প্রাসঙ্গিক হিসেবে উল্লেখ করা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিপিসি লোকসানের প্রাক্কলন করেছিল ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। অথচ ওই অর্থবছর শেষে মুনাফা করেছিল ৪ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। ২০২৪ অর্থবছরে বিপিসি লোকসানের প্রাক্কলন করেছে ৫ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। জ্বালানির বিশ্ববাজারের যে গতি-প্রকৃতি তাতে আশা করা যায়, বিপিসি কয়েক হাজার কোটি টাকা মুনাফা করবে।


বিশ্ব জ্বালানি বাজারের গতি-প্রকৃতি ছাড়াও এই অনুমানের আরও বড় কারণ হলো, এখন তো প্রতি মাসে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। সেই সমন্বয় প্রক্রিয়ায় বিপিসির মুনাফা যোগ করেই দাম নির্ধারণ করা হয়। তারপরও বলা হতে পারে, বিশ্ব জ্বালানি বাজার যেকোনো সময় অস্থিতিশীল হতে পারে। তার ওপর বছর দুয়েক ধরে যুক্ত হয়েছে মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। এসব কারণে বিপিসির প্রাক্কলন এবং বাস্তবে তার অর্জনে বড় ধরনের গরমিল হচ্ছে। কিন্তু কথা হলো, প্রতিবার যদি একই রকম ফল হয়, তাহলে বিপিসির সদিচ্ছা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠবেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও