কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ছাগল-জনম আমার সার্থক হইল!

সমকাল হিলাল ফয়েজী প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:৪৪

প্রিয় বাংলাদেশবাসী মনুষ্য ভ্রাতঃ এবং ভগিনীবৃন্দ! আমার শত-সহস্র কোটি ইত্যাদি ধরনের শুভেচ্ছা রহিল। ভাবিতেছেন, কে আমি? আমি নিতান্ত একটি কাঁঠালপত্র ও তৃণভোজী প্রাণী। তবে মাংসাশী অরণ্যপ্রাণী ও মনুষ্যসমাজের নিকট আমার গাত্রমাংস বড়ই উপাদেয়। চুইঝাল ও কাচ্চি খাবার, কালিয়া-কোপ্তা-কাবাবে আমার যে কী কদর! 


প্রতিবৎসর নানারূপ ধর্মীয়, পারিবারিক ও সামাজিক উৎসবে হয় জবাই নচেৎ বলিদান কিংবা কোনো না কোনো পদ্ধতিতে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি আমরা প্রবল ব্যাদান ও বেদনায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করি। ইহাই আমাদের চরম পরিণতি, সকরুণ ভাগ্যলিপি। তবে শক্তিশালী প্রাণী ও মনুষ্যের কাছে এই প্রকারে পরাভূত হইলেও আমরা রাম কিংবা নানা আকার-প্রকারের ছাগল জাতি-অমর। যিনি যাহাই বলুন, আমরা নিঃশেষিত হইব না। মনুষ্য জাতি কর্তৃক খামার রচনা করিয়া কতিপয় আমাদের পুরুষ জাতিকে দিয়া বিপুল নারী জাতির মাধ্যমে অজস্র উৎপাদনে আমাদের টিকাইয়া রাখা হইয়াছে। কেননা, উহাদের জিহ্বা আছে, ছাগমাংস প্রয়োজন। উহাদের নানারূপ পুষ্টির প্রয়োজনে ছাগদুগ্ধও আবশ্যক। গান্ধীজি যথায় যাইতেন, ছাগসাথী লইয়াই যাইতেন। মুগ্ধ হইয়া দুগ্ধ পানকরতঃ স্লিম থাকিতেন। পাহাড়ি ছাগল জাতির পশম দ্বারা উৎপন্ন শাল-চাদর মানব জাতির কাছে  বড়ই আদরণীয়। তাই পাহাড়-পর্বতে থাকিয়াও মনুষ্যশিকারিদের হস্ত হইতে আমাদের নিস্তার মিলে না। এই সকল কিচ্ছা-কাহিনি কহিবার জন্য আমার আলোচ্য প্রতিবেদন নহে। 


আপনারা কেহ যদি আমা হেন ছাগ-চরিত প্রতিবেদন পাঠ করিবার ফুরসত পান, তবে বলিব, এতক্ষণে আমার কিয়দংশ ফ্রিজে সংরক্ষিত থাকিবার কথা; কিয়দংশ হাড্ডিগুড্ডি দিয়া নেহারি হইবার কথা; অবশিষ্টাংশ ভক্ষিত হইয়া হজম প্রণালির নানা শাখা-প্রশাখা দিয়া বাহিত হইয়া বুড়িগঙ্গায় বর্জ্যরূপে পতিত হইবার কথা। কিন্তু বিধাতার কৃপায় আমি যে মরিয়াও অমর। নিহত, রক্তাক্ত হইয়াও বাংলাদেশবাসীর মুখে মুখে কলরবে আমি আজ আলোচিত, মুখরিত। সামান্য একটি ছাগল হইয়াও অদ্য আমি যে প্রকারে ‘ম্যান অব দ্য টাউন’, দুঃখিত, ‘খাসি অব দ্য কান্ট্রি’ হইয়া গেলাম, এমন ভাগ্য মানুষ হইয়াও আপনারা ক’জনা পাইয়াছেন! সার্থক ছাগল-জন্ম আমার!


কী প্রকারে এমন কাণ্ডটি ঘটিল, তাহা আপনারা সকলেই জ্ঞাত। নূতন করিয়া বলিবার আবশ্যকতা নাই। তা ‘ছাগল’ বলিয়া যতই গালমন্দ করুন, আমি কিন্তু এই নিম্নবর্ণের ছাগলগোষ্ঠীর মধ্যে কিঞ্চৎ উচ্চবর্ণের। আমার খামার মালিক আমাকে লালিয়াছে পালিয়াছে বড়ই আদর করিয়া। হরিণের ন্যায় গাত্রবর্ণ আমার। বেশ লম্বা-চম্বাও বটে। কোরবানির হাট উজ্জ্বলকারী। দাম? একেবারে চড়িয়া উঠিল ১৫ লক্ষ টঙ্ক! সেই টঙ্কের অঙ্কে এক অরুণ বরুণ তরুণ আমাকে ক্রয় করিল। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের তেলেসমাতিতে তাহা এই যুগের ভাইরাল হইয়া গেল। 


এই পর্যন্ত সকলেই আহা-উহা-বাহা বলিয়া উঠিলেন। ছাগলের দাম ১৫ লক্ষ টাকা। ভ্রু কুঞ্চন করিয়া দুই ফুট তুলিলেন। ব্যস, খেল খতম। 
না হে, ভাই ও বোনেরা, খেল মাত্র শুরু হইল। কে বা কাহারা জানাইল, ছাগল ক্রেতা পোলাটির বাপ হইল একজন সরকারি হর্তাকর্তা, হোমরাচোমরা, বড়সড় চাঁই! রাজস্ব বোর্ডের তপস্বী পদাধিকারী। কর্ণ টানিলে মস্তক নহে, পৃথিবীর গ্লোব আসিয়া পড়িল। কী খুঁড়িতে কী বাহির হইয়া পড়িল! 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও