You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ষষ্ঠ গণবিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে কি পৃথিবী

১৯৯৯ সালের এপ্রিলের কোনো একদিন আমি আর প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা গিয়েছিলাম শিমুলিয়া থেকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও পাথারিয়া পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দর্শনে। আমাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় একজন শরফুদ্দিন সাহেব। দ্বিজেন শর্মার গ্রাম শিমুলিয়া। সেটা মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী থেকে আট কিলোমিটারের পথ ছিল।

সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পেলাম, দুই পাশে টিলা এবং গাছপালার সারি। যত ভেতরে প্রবেশ করছি, ক্রমেই তা ঘন হয়ে উঠেছে। কখনো পাখির ডাক, কখনো ঝিঁঝি পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে টিলার ওপরে মানুষজন ঘর-বাড়ি উঠিয়ে বসতি গড়ে তুলেছে। প্রচণ্ড রোদে পাহাড়ি অঞ্চল ধোঁয়াশাচ্ছন্ন। দূরে পাথারিয়া পাহাড় দেখা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে খাসিয়াপঞ্জির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা আঁকাবাঁকা পথ ধরে কোথায় যেন চলছে। শরফুদ্দিনের কাছে জানা গেল, এ স্থানটা আরও ঘন ছিল, ঢোকাও সহজসাধ্য ছিল না, রয়েল বেঙ্গল টাইগারও ছিল; আসামের জঙ্গল থেকে আসত পাথারিয়া পাহাড়ে হাতি, গন্ডার ও বন্য মহিষের দল। তবে যেভাবে চারদিকে গাছ ও বনজঙ্গল নিধনের আয়োজন দেখলাম, তাতে কয়েক দিন পরে মশা-মাছি ছাড়া কিছুই থাকবে না, বন একেবারে ফাঁকা হয়ে গেছে। টিলাময় চা-বাগানের ভেতর দিয়ে মাধবকুণ্ড যেতে যেতে সেই সব ভয়াবহ দিনের গল্পই হচ্ছিল।

ওই সময় তিনি আমাকে ব্রাজিলের বন ধ্বংসের একটি গল্প বলেছিলেন। স্থানীয় লোকদের ব্যবহার করে বন পুড়িয়ে দেওয়া হয়, এরপর ওখানে প্রচুর ঘাস জন্মে ও গবাদিপশুর চারণভূমিতে রূপান্তরিত হয় এবং পশু পালনে মানুষদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। গজিয়ে ওঠে নানা ধরনের পশুপালনের খামার। যেহেতু ওই জমির উর্বরতা ছিল না, ফলে কিছুদিনের মধ্যে গবাদিপশুর বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় ঘাসের অভাবে। একসময় এগুলোকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় পশু-পালকেরা। এভাবে ম্যাকডোনাল্ডের মতো কোম্পানিগুলো তাদের মাংসের চাহিদা মিটিয়েছিল বিশ্বব্যাপী। এটা যদিও হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনার মতো মনে হলেও এর মধ্যে সুনিয়ন্ত্রিত পরিকল্পনা ছিল বলে পরে জানা গিয়েছিল। এরপর যখন এক উৎস শেষ হয়ে যায়, তখন সেখান থেকে কোম্পানি আরেকটি উৎসস্থলে ছুটে যায়।

পাঁচ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রান্সআমাজনিয়ান সড়ক, যা আমাজনের বুক ফুঁড়ে চলে গেছে, আর চারপাশে রেখে গেছে ধ্বংসের ছাপ। রাস্তা নির্মাণের জন্য পোড়ানো হয়েছিল পৃথিবীর ফুসফুসখ্যাত এই বন। এই সড়ক নির্মাণের ফলে আমাজনের অনেক আদিবাসী উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে।

এতে করে বনের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয়। অনেক আদিবাসী উদ্বাস্তু হয়, রেড ইন্ডিয়ানদের বিলুপ্তি ঘটে। বনভূমি ধ্বংস হয়ে অনেক প্রজাতি হুমকির মুখে পড়ে এবং ভূমির ক্ষয় হয়। এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন চিকো মেন্ডেস। তিনি বলতেন, ‘আমি ফুল চাই না। কেননা, আমি জানি ফুলটি আপনি বন থেকে ছিঁড়ে এনে দেবেন।’ গাছের প্রতি, পরিবেশের প্রতি এমন ভালোবাসা তাঁর ছিল। সরকার ও ভূস্বামী উভয়ের হাতে মার খেয়েছেন তিনি। এরপর একদিন গোধূলিবেলা ঘাতকের বুলেটের মুখে আমাজনের মতো উদাত্ত বুক পেতে দিয়েছেন চিকো মেন্ডেস। যেমন দিয়েছিলেন আমাদের দেশের চলেশ রিছিল, পীরেন স্নাল, আলফ্রেড সরেনেরা। ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক আদ্রিয়ান কোওয়েল আমাজনের ওপর ‘ডিকেড অব ডিসট্রাকশন’ নামে একটা তথ্যচিত্র বানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন